লক্ষ্য ছিল, ব্যস্ত শহরের বুকে প্রজাপতি বৈচিত্র নিয়ে জনসচেতনতা গড়ে তোলা। সেই লক্ষ্যপূরণের উদ্দেশ্যে ‘বিগ বাটারফ্লাই মান্থ’ (বিবিএম) এবং ‘উইকি লাভস বাটারফ্লাই’-এর যৌথ উদ্যোগে হল রবীন্দ্র সরোবরে হল বিশেষ একটি প্রজাপতি চেনানোর কর্মশালা।
আয়োজকদের তরফে কিংশুক মণ্ডল জানিয়েছেন, ২০২০ সালে শুরু হওয়া ‘বিগ বাটারফ্লাই মান্থ-এর লক্ষ্য হল সারা ভারতে প্রজাপতির বৈচিত্র্য নথিভুক্ত করা, যা বছরে একবার পরিচালিত একটি বিশেষ জাতীয় উদ্যোগের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। এই উদ্যোগে সংগৃহীত তথ্য ‘গ্লোবাল বায়োডাইভার্সিটি ইনফরমেশন ফেসিলিটি’ (জিবিআইএফ)-এ জমা দেওয়া হয়, যা গবেষণা, সংরক্ষণ পরিকল্পনা এবং আইইউসিএন রেড লিস্ট-এর মতো বৈশ্বিক মূল্যায়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ।
চলতি বছর দেশ জুড়ে এই কর্মসূচি আরও আরও বিস্তৃত হয়েছে জানিয়ে অন্যতম উদ্যোক্তা অনন্যা মণ্ডল বলেন, ‘‘সারা ভারতের প্রায় ৩৫০টি জেলা জুড়ে এই অভিযান চলেছে। যা প্রজাপতি নথিভুক্তকরণের ক্ষেত্রে দেশের অন্যতম বৃহত্তম ‘নাগরিক বিজ্ঞান উদ্যোগে’ পরিণত হয়েছে। পরিবেশের বদলের কারণে শহরের প্রজাপতি বৈচিত্রও বদলে যাচ্ছে দাবি করে অনন্যা বলেন, ‘‘কয়েক বছর আগেও কলকাতা শহরে অনেক রেড পিয়োরো গোত্রের প্রজাপতি দেখা যেত। কিন্তু পরিবেশ দূষণ এবং আবাসস্থলের পরিবর্তনের কারণে ওই প্রজাতির প্রজাপতির সংখ্যা অনেক কমে গিয়েছে।’’ শহরের বাস্তুতন্ত্র এবং পরিবেশ রক্ষায় প্রজাপতির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘প্রজাপতি সংরক্ষণের জন্য নাগরিক সমাজের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ।’’