—প্রতীকী চিত্র।
পণের দাবিতে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে মৃতার স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম পিন্টু নস্কর। মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেফতার করেন সার্ভে পার্ক থানার তদন্তকারীরা।
পুলিশ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকালে আকস্মিক মৃত্যু হয় মল্লিকা সর্দারের (২৭)। তিনি পিন্টুর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী ছিলেন। মাস চারেক আগে পিন্টুর সঙ্গে মল্লিকার বিয়ে হয়। গরফার বাসিন্দা মল্লিকা পিন্টুর সঙ্গে থাকতেন সার্ভে পার্ক এলাকার হসপিটাল লিঙ্ক রোডে। মল্লিকার দাদা সায়ন সর্দারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ পিন্টুকে গ্রেফতার করে। ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে, মৃত্যুতে অস্বাভাবিক কিছু মেলেনি। মৃত্যুর কারণ জানতে ভিসেরা পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, পিন্টুর প্রথম পক্ষের স্ত্রী এবং এক সন্তান রয়েছেন। তাঁরা থাকেন গরফা থানা এলাকায়। সোমবার পিন্টু এবং মল্লিকা একসঙ্গেই ছিলেন। পুলিশকে পিন্টু জানিয়েছে, খাওয়াদাওয়ার পরে মল্লিকা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে সে তাঁকে একটি ওষুধ এনেদেয়। তিনি সুস্থ বোধ করেন কিছু ক্ষণের মধ্যেই। এর পরেই প্রথম পক্ষের স্ত্রী ফোনে জানান, তাঁদের সন্তান অসুস্থ। যা শুনে পিন্টু ওই দিন প্রথম পক্ষের স্ত্রী কাছে চলে যায়। মঙ্গলবার সকাল ১০টা নাগাদ সে ফিরে আসে হসপিটাল লিঙ্ক রোডে। পুলিশের কাছে তার দাবি, অনেক বার ডাকাডাকি করার পরেও মল্লিকা দরজা না খোলায় সে ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে দরজা খুলে ভিতরে ঢোকে। বিছানায় অচৈতন্য অবস্থায় মল্লিকাকে দেখতে পায় পিন্টু। এর পরেই সে খবর দেয় সায়নকে।
পুলিশ জানিয়েছে, দু’জনে প্রথমে মল্লিকাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে এবং পরে বাঘা যতীন স্টেটজেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এর পরেই মল্লিকার পরিবারের তরফে পণের দাবিতে খুন, বধূ নির্যাতন সহ একাধিকধারায় অভিযোগ করা হয় সার্ভে পার্ক থানায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy