প্রতীকী ছবি।
কচিকাঁচাদের মন পরিবেশ নিয়ে কী ভাবে? দৃষ্টিহীনদের ‘দৃষ্টিতে’ ক্যানসার সচেতনতার অর্থ কী? জানতে চেয়েছিল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সেই লক্ষ্যেই বেহালা চৌরাস্তার কাছে দৃষ্টিহীনদের স্কুলের সভাগৃহে শুক্রবার থেকে গত তিন দিন ধরে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। রবিবার ছিল স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সচেতনতা সংক্রান্ত সেই অনুষ্ঠানের শেষ দিন।
সেখানেই স্কুলপড়ুয়াদের নিয়ে আঁকা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। বিষয় ছিল, পড়ুয়াদের চোখে পরিবেশ সচেতনতা। জল-তুলির ক্যানভাসে শ্বেতা গুপ্ত, শুভায়ু মিস্ত্রি, বর্ষা মল্লিকের কল্পনায় প্রাণ পেল পরিবেশ সংক্রান্ত নানা বার্তা। কংক্রিটের জঙ্গলে পরিবেশরক্ষার শর্তগুলি কী ভাবে বিপন্ন, কচি মন তা-ই এঁকেছে নিজেদের মতো করে। কেউ আবার বুঝিয়েছে, জল অপচয় বন্ধ করা কেন জরুরি। আঁকা প্রতিযোগিতায় পুরস্কৃত অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ঠাকুরপুকুরে বাসিন্দা শ্বেতা গুপ্ত বলে, ‘‘গাছ ছাড়া যে বাঁচব না, তা ছবি এঁকে সকলকে বোঝাতে চেয়েছি।’’
চোখে দেখতে পান না, কিন্তু চারপাশটা অনুভব করেন মনের দৃষ্টি দিয়ে— তাঁদের ভাবনাও জানাতে চাওয়া হয়েছিল এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। ক্যানসার সচেতনতা নিয়ে নিজেদের বক্তব্য তাৎক্ষণিক বক্তৃতার মধ্যে তুলে ধরে দৃষ্টিহীনদের জন্য স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। আসিকুল মণ্ডল নামে এক ছাত্র বলে, ‘‘পরিবেশ থেকে আমরা পাই অনেক কিছু। কিন্তু এর বিনিময়ে পরিবেশকে ফিরিয়ে দিই না কিছুই। ফলে দিন দিন দূষণ বাড়ছে। বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তর পাতলা হয়ে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি পৃথিবীতে আসছে। তার জন্য ত্বকের ক্যানসার বাড়ছে।’’
আরও এক ছাত্র রনি বসাক আবার ক্যানসার প্রতিরোধে শাক-আনাজের মতো স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে বলে। জাঙ্ক ফুডের বিষয়ে কড়া সতর্কবার্তা জারি করল দশম শ্রেণির ছাত্র। আর ছাত্রী মেঘা চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘‘নিজেকে সুস্থ রাখতে কী করব আর কী করব না, তা ঠিক করে নেওয়া দরকার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy