মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।—ফাইল চিত্র
দিনভর গাড়ি চালিয়েও তেমন আয় নেই অ্যাপ-ক্যাব চালকদের। দিনে দু’তিনশো টাকা যা আয় হচ্ছে, তার অধিকাংশই খরচ হচ্ছে ডিজ়েল কিনতে। সমস্যার সমাধানে অ্যাপ-ক্যাব সংস্থাগুলির কাছে কমিশনের অঙ্ক কমাতে দাবি জানিয়েছে চালকদের সংগঠনগুলি। তবে, অ্যাপ-ক্যাব সংস্থাগুলি ওই দাবি মানতে চায়নি। ঋণের দায়ে মানিকতলার বাসিন্দা এক অ্যাপ-ক্যাব চালক আত্মহত্যা করেছেন বলেও খবর। ইতিমধ্যে রাজ্যে বিভিন্ন গাড়ির বকেয়া রোড ট্যাক্স-সহ অন্যান্য কর মেটানোর জন্য সরকারের দেওয়া ছাড়ের সময়সীমা গত ৩০ জুন পেরিয়ে গিয়েছে। ফলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোটা অঙ্কের জরিমানা গুনতে হচ্ছে। এই অবস্থায় অ্যাপ-ক্যাব সংগঠনগুলিও ছাড়ের সময়সীমা বাড়ানোর দাবি তুলেছে। সরকারের পক্ষ থেকে এখনও এ সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাওয়ার আগে ক্যাবচালকদের একাংশ রোড ট্যাক্স-সহ বিভিন্ন করের ছাড়ের মেয়াদ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি তুলে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে মেল করার পাশাপাশি চিঠি তাঁকে ফেসবুক এবং টুইটারেও ট্যাগ করা হচ্ছে বলেও খবর।
অ্যাপ-ক্যাব সংস্থার গাড়িচালক হরিদেবপুরের শঙ্কর গঙ্গোপাধ্যায় এবং পার্ক সার্কাসের আমজ়াদ হোসেন মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে তাঁরা লকডাউন পর্বে প্রায় দু’মাস গাড়ি না চলার কথা জানিয়েছেন। এখনও সে ভাবে তাঁদের আয় নেই বলেই চিঠিতে জানিয়েছেন। তাঁদের মতোই বেলুড়ের অশোক চৌধুরী ও মানিকতলার গুরদীপ সিংহও চিঠি দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর ফেসবুক পেজে ওই চিঠি ট্যাগ করা হয়েছে। তাঁরা জানান, ডিজ়েলের মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে অন্তত কর ছাড়ের মেয়াদ কিছুটা বাড়ালে তাঁদের সুবিধা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy