প্রতীকী ছবি।
কলকাতায় ইতিমধ্যেই সেঞ্চুরি পার করেছে ডিজ়েল। সেই আগুন-দামের আঁচ লাগতে শুরু করেছে সরকারি পরিবহণ নিগমগুলিতে। ট্যাঙ্কারপিছু জ্বালানির দাম ১২ লক্ষ টাকা ছুঁতেই রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলির কাছে বকেয়া বাড়তে শুরু করেছে। তা প্রায় কোটির ঘরে পৌঁছে যাওয়ায় পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে ঠেকেছে যে, পরিষেবা সচল রাখা নিয়েই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। নিগমের কর্তাদের আশঙ্কা, নতুন করে অর্থ বরাদ্দ না করলে অচিরেই মুখ থুবড়ে পড়বে পরিষেবা। সমস্যা মেটাতে পরিবহণ দফতরের পক্ষ থেকে নবান্নের হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের সমস্যার কথা জানিয়ে সোমবার তাঁদের সঙ্গে এ নিয়ে ভিডিয়ো-বৈঠক করেন পরিবহণ সচিব। রাজ্য প্রশাসনের তরফে বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর লকডাউনের পর থেকেই ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছিল নিগমের আর্থিক সঙ্কট। পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে গিয়ে কয়েক কোটি টাকার জ্বালানি খরচ হয় তাদের। গত বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রায় ২০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির বোঝা ঘাড়ে নিতে হয়েছিল পরিবহণ নিগমকে। পরের কয়েক মাসে বাস চালিয়ে জ্বালানি-খরচের কিছুটা উঠে এলেও ক্ষতির সুরাহা হয়নি। স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের পরিবহণ থেকে কিছু টাকা পাওয়া গেলেও তাতে সমস্যা মেটেনি।
চলতি বছরে ডিজ়েলের চড়া দামের কারণে খরচ কমাতে প্রথম থেকেই অপ্রয়োজনীয় রুটে বাস না চালানোর প্রশ্নে সতর্ক থেকেছে পরিবহণ দফতর। কিন্তু তার পরেও পরিস্থিতি এমন যে, ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় আট কোটি টাকার কাছাকাছি। বেশির ভাগটাই রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলির কাছে বকেয়া। দ্রুত সেই বকেয়া না মেটালে ডিজ়েলের ট্যাঙ্কার পাওয়া খুব মুশকিল। পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, আগেও সমস্যার কথা নবান্নকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু খুব একটা লাভ হয়নি। এ বার তাই আগেভাগেই কঠিন পরিস্থিতির কথা জানানো হয়েছে নবান্নকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy