Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Bus Accidet

বাস দুর্ঘটনায় আহত যাত্রীদের পাশে থাকার দৌড়! শাসক, বিরোধী পুলিশ— সকলে শামিল

চিকিৎসক এবং আহতদের পরিবারের কয়েক জনের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেন অরূপ। পরে রাজ্যের মন্ত্রী জানান, দুর্ঘটনায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এক জনের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।

Image of accident and people consoling

হাসপাতালে মন্ত্রী অরূপ, সেলিম এবং পুলিশকর্তারা। — নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৩ ২১:২৩
Share: Save:

মেয়ো রোডে বাস দুর্ঘটনার পর আহতদের নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ারে। খবর পেয়ে সেই এসএসকেএমেই আহতদের দেখতে হাজির হলেন একের পর এক নেতা, মন্ত্রী থেকে পুলিশকর্তারা। শাসক থেকে বিরোধী— পাশে থাকার দৌড়ে শামিল সকলেই।

শনিবার বিকেলে মেয়ো রোডে একটি বাইককে বাঁচাতে গিয়ে উল্টে যায় যাত্রীবোঝাই মিনি বাস। বাসের সামনের ও পিছনের কাচ ভেঙে আহতদের উদ্ধার করে পাঠানো হয় এসএসকেএমে। পরে জানা যায়, দুর্ঘটনায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্য দিকে, দুর্ঘটনার খবর পেয়েই হাসপাতালে পৌঁছন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। যান লালবাজারের পুলিশকর্তারা। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও আহতদের পরিজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

অরূপ চিকিৎসক এবং আহতদের পরিবারের কয়েক জনের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেন। পরে রাজ্যের মন্ত্রী জানান, দুর্ঘটনায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এক জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১৬ বছরের ফারহান আহমেদ খান। সে ওয়াটগঞ্জের বাসিন্দা। যে বাইকটিকে বাঁচাতে গিয়ে উল্টে যায় মিনি বাসটি, সেই বাইকেই ছিল ফারহান। এ ছাড়াও ৪২ বছরের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তবে তাঁর পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন সিপিএম নেতা ফৈয়াজ আহমেদ খানের ভাইপো অজলান। সেই খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছন বাম নেতা। তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই আহতদের যাত্রীদের পাশে দাঁড়াতে এসএসকেএমে হাজির হন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। কথা বলেন ফৈয়াজের সঙ্গে। সেলিম এ ক্ষেত্রে নিশানা করেন রাজ্য সরকারকে। বলেন, ‘‘ট্রাফিকের নিয়মগুলিকে যে ভাবে লাগু করতে হবে, মুখ্যমন্ত্রী তা করছেন না বা করতে পারছেন না। একটা প্রাণ অকালে ঝরে গেল। এত ক্যামেরা বসানো হচ্ছে, যে ছবি দেখে পুলিশ স্পট ফাইন করছে, সে সব কী কাজে লাগে! বাসের ভাড়ার কোনও ঠিক নেই। তাই বাসের মেনটেন্যান্সও হচ্ছে না। চালকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার বালাই নেই। ট্রাম তুলে দেওয়া ছাড়া সরকারের পরিবহণ বিভাগের আর কোনও কাজ নেই।’’

আহতদের দেখতে হাসপাতালে এসেছিলেন কলকাতা পুলিশের ডিসি (ট্রাফিক) এবং ডিসি (দক্ষিণ)। তাঁরা ট্রমা কেয়ারে গিয়ে আহতদের ব্যাপারে খোঁজখবর করেন। কথা বলেন পরিজনদের সঙ্গেও।

সব মিলিয়ে, শনিবার বিকেলে মেয়ো রোডে মিনি বাস দুর্ঘটনায় আহতদের পাশে থাকতে শাসক, বিরোধী, পুলিশের ‘দৌড়’ দেখল এসএসকেএম।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE