Advertisement
E-Paper

মায়ের কোলে ফেরাল পুলিশ

অনটনের জ্বালায় কোলের শিশুকে আত্মীয়ের কাছে রাখতে দিয়েছিলেন এক তরুণী। কিন্তু গোল বাধাল সন্তানের টান। তা নিয়ে গোলমালের জেরেই বিষয়টি গড়াল থানা-পুলিশ পর্যন্ত। মায়ের কাছে সন্তানকে ফিরিয়ে না দেওয়ায় গ্রেফতার হতে হল ওই তরুণীর আত্মীয়কে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ০১:০৮
প্রাপ্তি: ছেলেকে নিয়ে শম্পা। নিজস্ব চিত্র

প্রাপ্তি: ছেলেকে নিয়ে শম্পা। নিজস্ব চিত্র

অনটনের জ্বালায় কোলের শিশুকে আত্মীয়ের কাছে রাখতে দিয়েছিলেন এক তরুণী। কিন্তু গোল বাধাল সন্তানের টান। তা নিয়ে গোলমালের জেরেই বিষয়টি গড়াল থানা-পুলিশ পর্যন্ত। মায়ের কাছে সন্তানকে ফিরিয়ে না দেওয়ায় গ্রেফতার হতে হল ওই তরুণীর আত্মীয়কে।

পুলিশ জানায়, শম্পা কুন্তী নামে ওই তরুণীর বাড়ি রাজাবাগানের লেনিন রোডে। স্বামী নিরুদ্দেশ হওয়ায় তিনি মায়ের কাছেই থাকেন। আর্থিক অনটন সামলাতে না পেরে ১৬ মাসের ছেলে প্রিন্সকে তিনি মামা শ্বশুর রাজেশ লায়েকের কাছে রেখে এসেছিলেন। রাজেশের বাড়ি বজবজে। শম্পার অভিযোগ, পরে তিনি ছেলেকে ফেরত নিতে গেলে, প্রিন্সকে আর দেওয়া হত না তাঁর হাতে। কিছু ক্ষণের জন্য ছেলেকে কোলে দিয়েই আবার ফেরত নিয়ে নেওয়া হত। রবিবার তিনি রাজেশের বা়ড়ি গেলে প্রিন্সকে দেখানো হয়নি। উল্টে তাঁকে অপমান করে তাড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এর পরেই তিনি রাজাবাগান থানায় এ সংক্রান্ত অভিযোগ জানান।

পুলিশ সূত্রের খবর, শম্পার অভিযোগ শুনে রাতেই থানার একটি দল রাজেশের বাড়িতে হানা দেয়। কিন্তু প্রিন্সের খোঁজ মেলেনি। বিভিন্ন জায়গা থেকে পাওয়া কিছু সূত্র ধরে মহেশতলা ও বজবজের কয়েকটি জায়গায় হানা দেওয়া হয়। শেষমেশ সোমবার দুপুরে বিড়লাপুর থেকে উদ্ধার করা হয় প্রিন্সকে। এর পরে গ্রেফতার করা হয় রাজেশকে। শিশুটিকে শিশুকল্যাণ সমিতির নির্দেশ অনুযায়ী শম্পার কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী পুলিশকর্মীরা জানান, মাকে দেখেই কোলে ঝাপিয়ে পড়েছিল প্রিন্স।

পুলিশের কাছে রাজেশের দাবি, তিনি নিঃসন্তান। তাই নিজের সন্তানের মতোই প্রিন্সকে লালনপালন করছিলেন। শম্পার কাছে শিশুটি উপযুক্ত পরিচর্যা পাবে না। পুলিশ সূত্রের খবর, শিশুটিকে উদ্ধারের পরে অভিযুক্ত ব্যক্তি ও শম্পাকে বজবজ ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সে সময়ে রাজেশের পরিচিত ও স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ ফাঁড়িতে হাজির হন। তাঁরাও দাবি করেন, প্রিন্স রাজেশের বাড়িতে উপযুক্ত যত্নে ছিল। তাকে যেন সেখানেই রেখে দেওয়া হয়। শেষমেশ তাঁদের বুঝিয়ে শিশুটিকে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিশ।

Mother Son Arrest
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy