নিউ টাউন। ছবি: সংগৃহীত।
এ শহরে জন্ম নেই, কিন্তু মৃত্যু আছে!
এখন হাজার তিরিশেক মানুষের বাস। ২৮ বর্গকিলোমিটারের এই নতুন শহরে জনবসতি বাড়ছে হুহু করে। পাল্লা দিয়ে চলছে উন্নয়ন। আকাশরেখায় মাথা তুলেছে সারিবদ্ধ বহুতল। তৈরি হয়েছে চওড়া রাস্তা। মাঝের বুলেভার্ডে সবুজের সমারোহ। স্মার্ট সিটি-র দৌড়ে পুরনো, প্রতিষ্ঠিত শহরগুলির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়ে যাচ্ছে কলকাতা সংলগ্ন নতুন শহর ‘নিউ টাউন’।
নিউ টাউনের কোনও পুরসভা নেই। হিডকো-র অধীনস্থ ওই এলাকায় পুর পরিষেবার ভার ‘নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’র (এনকেডিএ) হাতে। বাড়ির পরিকল্পনা অনুমোদন থেকে জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র দেওয়া, নিকাশি, রাস্তার আলো থেকে জল সরবরাহের তদারকি— সবই করে এনকেডিএ।
সেই এনকেডিএ-র তথ্যভাণ্ডারই বলছে, এই শহরে মৃত্যু আছে। কিন্তু জন্মের সংখ্যা গত সাত বছরে শূন্য।
কী ভাবে?
এনকেডিএ এলাকার মধ্যে এই মুহূর্তে দু’টি হাসপাতাল চালু রয়েছে। একটি টাটা ক্যানসার হাসপাতাল। অন্যটি ওহায়ো হাসপাতাল। দু’টির কোনওটিতেই কোনও শিশুর জন্ম হয়নি। নিউ টাউনের বাসিন্দারা প্রসূতিদের নিয়ে যান পার্শ্ববর্তী সল্টলেক কিংবা কলকাতার কোনও নার্সিংহোম বা হাসপাতালে। সেই কারণে ‘প্লেস অব বার্থ’-এর নিয়ম অনুযায়ী সেই শিশুর জন্মের শংসাপত্র তৈরি হচ্ছে বিধাননগর বা কলকাতা পুরসভা থেকেই। তাই এনকেডিএ-র জন্ম রেজিস্টারে কালির আঁচড়ও এই ক’বছরে পড়েনি। পাশাপাশি, নিউ টাউনের ওই দুই হাসপাতালে বা এই এলাকায় অবস্থিত বাড়িতে যাঁদের মৃত্যু হচ্ছে, তাঁদের ক্ষেত্রে ‘প্লেস অব ডেথ’-এর নিয়মেই মৃত্যুর শংসাপত্র নেওয়া হচ্ছে এনকেডিএ অফিস থেকে।
তবে পরিস্থিতিটা দ্রুত পাল্টাবে বলেই মনে করছেন এনকেডিএ বা হিডকো-কর্তারা। কারণ, একাধিক নির্মীয়মাণ হাসপাতাল এখন শেষ হওয়ার পথে। নিউ টাউনে চলতি বছরেই অন্তত তিনটি হাসপাতাল চালু হচ্ছে, যেখানে উন্নত মানের প্রসূতি বিভাগ থাকবে। শুধুই প্রসূতিদের জন্য খ্যাত কলকাতার একটি হাসপাতালও নিউ টাউনে তাদের নতুন হাসপাতালও চালু করছে এই বছরেই।
কর্তৃপক্ষের আশা, খুব শীঘ্রই হয়তো জন্ম নেবে নিউ টাউনের ‘প্রথম শিশু’। যাঁর হাত ধরে জন্মের খাতা খুলবে এনকেডিএ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy