কারও কাছে দাদা, কারও ভাই, কারও অমুকবাবু। এত দিন কেউ তাঁর নাম জানার কথা ভাবেননি। প্রয়োজন ছিল না বলে। কিন্তু গরজ বড় বালাই। আর নোটের গরজ বলে কথা!
এই সব ‘দাদা’, ‘ভাই’রা আসলে বিভিন্ন এটিএমের নিরাপত্তারক্ষীরা। মেশিনে ক্যাশ কখন ঢুকবে জানতে এখন তাঁরাই ভরসা অনেক গ্রাহকের। নগদের গতিবিধি জানতে রক্ষীদের মোবাইল নম্বর নিয়ে রাখছেন অনেকে। মাঝেমধ্যে ফোন করতে হচ্ছে।
শহরের এটিএমগুলিতে ছবিটা মঙ্গলবারও ছিল আগের কয়েক দিনের মতোই। লম্বা লাইন। অনেকটা সময়েই এটিএমে টাকা নেই। মেশিনে নগদ ঢোকার কিছুক্ষণের মধ্যেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। তবে নিরাপত্তারক্ষীরাই আগাম জানতে পারছেন, কখন ‘ক্যাশ’ ঢুকবে। সেই জন্যই বার বার তাঁদের ফোন করে সময়টা জেনে নিচ্ছেন বহু মানুষ। আর সেটা জানার পর সময় হিসেব করে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন।
লেকটাউনের বাসিন্দা চন্দ্রিমা ঘোষ বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্কের এটিএমের নিরাপত্তা কর্মীদের ফোন নম্বর নিয়ে রেখেছেন। মাঝেমধ্যেই তাঁদের ফোন করে টাকার এল কি না খবর নিচ্ছেন। ওই মহিলা জানালেন, তাঁর এক বন্ধু এই ভাবে খবর পেয়েই শনিবার এটিএম থেকে টাকা তুলতে পেরেছেন।
এ দিন বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ কলকাতা পুরসভা লাগোয়া এসবিআইয়ের এটিএমে দেখা গেল, শতাধিক মানুষের লাইন। তাঁরা দু’ঘণ্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে। টাকা নেই জেনেও। ঠিক তখনই ক্যাশ ভ্যান ঢুকল। আর তার পিছু পিছু হই হই করে ছুটে এলেন সাত-আট জন। তাঁরা পিছনে থাকা লোকদের লাইন রাখতে বলে চা খেতে যাচ্ছিলেন!
এ দিন কলকাতার কয়েকটি এটিএম থেকে এক বারে আড়াই হাজার টাকা বেরিয়েছে। তবে একশো টাকার নোটে। আজ, বুধবার কোনও কোনও এটিএমে নতুন পাঁচশো টাকার নোট ঢুকবে বলে কয়েকটি ব্যাঙ্ক জানিয়েছে।