আব্দুল সামাদ মণ্ডল
প্রায় দু’লক্ষ টাকার গয়না ভর্তি ব্যাগ এক গৃহবধূকে ফেরত দিলেন এক অটোচালক।
পুলিশ জানায়, শনিবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে বাবা-মায়ের বাড়ি থেকে মহেশতলার চন্দননগরে ফিরছিলেন গৃহবধূ সুমাইয়া খাতুন। প্রথমে তিনি ক্যানিং থেকে বালিগঞ্জ পৌঁছন। পরে সেখান থেকে বজবজ লোকাল ধরে নুঙ্গিতে নামেন। তাঁর এক আত্মীয়াও সঙ্গে ছিলেন। নুঙ্গি স্টেশন থেকে অটোয় চাপেন দু’জনে। সুমাইয়ার কাছে কাপড়ে মোড়া গয়নার ব্যাগটি ছিল। অটো চন্দননগর পৌঁছনোর পরে জোরে বৃষ্টি নামে। তড়িঘড়ি অটো থেকে নামতে গিয়ে সুমাইয়ারা গয়নার ব্যাগটি সিটের উপরে ফেলে রেখে চলে যান।
সুমাইয়ার কথায়, ‘‘অটোটি চলে যাওয়ার পরে গয়নার ব্যাগের কথা মনে পড়ে। ব্যাগ ফেরত পেতে মহেশতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করি।’’
তদন্তকারীরা জানান, সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে অটোটি শনাক্ত করা হয়। তবে কোনও পদক্ষেপ করার আগেই অটোচালক ব্যাগটি নিয়ে থানায় হাজির হন।
অটোচালক আব্দুল সামাদ মণ্ডল বজবজ থানা এলাকার বাসিন্দা। তিনি জানান, দুই মহিলা নেমে যাওয়ার পরে পিছনের সিটে পড়ে থাকা কাপড়ে মোড়া ব্যাগটি তিনি দেখতে পান। ব্যাগটি খুলতেই তিনি দেখেন সেটির ভিতরে গয়না রয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘অত গয়না দেখে আমি ভেবেছিলাম হয়তো কারও মেয়ের বিয়ে। গয়না না থাকলে বিয়ে ভেস্তে যেতে পারে। সেই আশঙ্কায় আমি গয়নার মালিককে খুঁজেছিলাম। রাস্তায় কাউকে খুঁজে না পেয়ে রাতে আমাদের এলাকার এক পঞ্চায়েত সদস্যকে বিষয়টি জানাই। তার পরে ওঁর সঙ্গে বজবজ থানায় গিয়ে গয়নার ব্যাগটি জমা দিই।’’
বজবজ থানা সূত্রে খবর, গৃহবধূর অভিযোগ পেয়ে মহেশতলা থানার পুলিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে অটো এবং চালক আব্দুলকে চিহ্নিত করে। বজবজ থানার তরফে মহেশতলা থানায় যোগাযোগ করে সুমাইয়াকে রবিবার থানায় ডেকে তাঁর হাতে ওই গয়না তুলে দেওয়া হয়। পরে সুমাইয়া বলেন, ‘‘সামাদ ভাইকে ধন্যবাদ দেওয়ার আমার কোনও ভাষা নেই।’’ সততার পুরস্কার হিসেবে আব্দুলকে বজবজ থানার তরফে পাঁচশো টাকা দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy