অটোর ভাড়া বাড়ল দ্বিগুণ, কোথাও বা তিন গুণ। হলুদ ট্যাক্সিরও সটান জবাব, মিটারে যাব না। সাকুল্যে ১০০ টাকা ভাড়া উঠতে পারে, এমন দূরত্বের জন্য চাওয়া হল ৩৫০-৪০০ টাকা! সার্জ প্রাইস বাড়াল অ্যাপ-ক্যাবও।
একটা শহরের ‘লাইফলাইন’ যে পরিষেবা, সেই মেট্রো বিগড়োলে ভোগান্তি কোন পর্যায়ে যেতে পারে, বুধবার ফের তা হাড়ে হাড়ে টের পেলেন শহরবাসী। অভিযোগ, সেই সুযোগে দাপিয়ে বেড়াল অটো, হলুদ ট্যাক্সি এবং অ্যাপ-ক্যাব। তাদের দৌরাত্ম্য থেকে মুক্তি পেতে বাসে উঠে বাদুড়ঝোলা হতে হল যাত্রীদের। আরও অভিযোগ, সব কিছু দেখেও পুলিশ রইল দর্শক। এ দিন মেট্রোয় জোড়া বিপর্যয়ের পরে এটাই ছিল শহরের পথের চিত্র।
গত বৃহস্পতিবারই মেট্রো বিপর্যয়ে মৃত্যুভয় তাড়া করেছে যাত্রীদের। তার পরেও মেট্রো পরিষেবাই শহরের বড় ভরসা। এ দিন সেই ভরসার জায়গাটাই যাত্রীদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াল। সকালে দমদম স্টেশনে এক ব্যক্তির আত্মহত্যার ঘটনায় ডাউন লাইনে মেট্রো চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। সকাল ৯টা ১৭ থেকে সাড়ে দশটা, অফিসের ব্যস্ত সময়ে নাকাল হন যাত্রীরা। ট্রেন না পেয়ে অনেকেই ততক্ষণে উঠে এসেছেন চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ে। একে গাড়ির জট, তার উপরে মানুষের ভিড়— দুইয়ের চাপে রীতিমতো হাঁসফাঁস অবস্থা হয় ওই রাস্তার। বাসে যদি বা ওঠা গিয়েছে, সেখানেও ভিড়ের চাপে প্রাণান্তকর অবস্থা। যা দেখে শোভাবাজার মোড়ে এক যাত্রীকে বলতে শোনা গেল, ‘‘বাসে এক জনের ঘাড়ে চার জন উঠছে। অনেকে দরজায় ঝুলছেন। পুলিশ কী করছে?’’ উত্তর মেলেনি কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ট্র্যাফিক) মিতেশ জৈনের কাছে। ফোন এবং এসএমএসের জবাব দেননি তিনি। তবে শোভাবাজার এলাকার এক ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীর সাফাই, ‘‘রাস্তা সাফ করে দেওয়া হয়েছে সময় মতো। গাড়ি তো আর ধরিয়ে দিতে পারি না!’’