বেলেঘাটায় গাঁধী ভবনের কাছে ক্লাবঘরে বিস্ফোরণের পরে কেটে গিয়েছে প্রায় ৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময়। এখনও এই ঘটনায় কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এর মধ্যেই বিতর্ক উস্কে দিয়ে রাজ্যের ক্রেতা-সুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে বলেছেন, ‘‘বম্ব স্কোয়াড দিয়ে ওই এলাকায় ভাল করে তল্লাশি চালানো উচিত।’’ অনেকে যদিও বলছেন, সাধন এবং বেলেঘাটার বিধায়ক পরেশ পালের মধ্যে সম্পর্কের রসায়নই এই মন্তব্যের কারণ। পরেশবাবু অবশ্য বোমা বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে এ দিন আর মন্তব্য করতে চাননি। বিতর্ক তৈরি হয়েছে পুলিশের রুজু করা মামলার ধরন নিয়েও।
আইনজীবীদের বড় অংশের দাবি, মামলার ধারা দেখেই বোঝা যাচ্ছে, ক্লাবের মধ্যে যে বোমা মজুত ছিল এবং সেটাই যে ফেটেছে সে ব্যাপারে এক প্রকার নিশ্চিত পুলিশ। তাঁদের প্রশ্ন, সম্পাদক বা সভাপতির বদলে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কেন মামলা রুজু করা হল? বড় নাম গোপন করতেই পুলিশের এই চেষ্টা কি না, সেই প্রশ্নও উঠছে।
মঙ্গলবার বেলেঘাটা গাঁধী ভবনের কাছে ফ্রেন্ডস সার্কল নামে ওই ক্লাবে বোমা বিস্ফোরণ হয়। ক্লাবের সদস্যেরা দাবি করেন, বাইরে থেকে দুই যুবক মুখে গামছা জড়িয়ে এসে বোমা ছুড়ে পালিয়েছে। যদিও ফরেন্সিক আধিকারিকেরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেই জানিয়ে দেন, বোমা মজুত ছিল ক্লাবের মধ্যেই। এর পরে রাতেই পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র), ২৮৬ (জীবনহানি হতে পারে এমন বিস্ফোরক নিয়ে অবহেলা) এবং এক্সপ্লোসিভ সাবস্ট্যান্সেস অ্যাক্ট-এর পাঁচ নম্বর (সন্দেহজনক পরিস্থিতিতে বিস্ফোরক রাখা) ধারায় মামলা রুজু করে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে।