ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার ঘরের সামনে ধর্নায় ছাত্রীরা। সোমবার, বেথুন কলেজিয়েট স্কুলে। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য।
পাশ করানোর দাবিতে সোমবার বেথুন কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্রীদের একাংশ আন্দোলনে নামলেও কর্তৃপক্ষ অনড়। মঙ্গলবার স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা শাশ্বতী অধিকারী জানিয়ে দিয়েছেন, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের নিয়মের বাইরে গিয়ে কোনও কিছু তাঁরা করবেন না।
স্কুলের একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে ওঠার পরীক্ষায় ১১৯ জনের মধ্যে অকৃতকার্য হয়েছে ১৮ জন ছাত্রী। বিজ্ঞান এবং কলা বিভাগে অকৃতকার্য হওয়া ওই ছাত্রী এবং তাদের অভিভাবকেরা সোমবার স্কুলে গিয়ে পাশ করিয়ে দেওয়ার দাবি করেন। অভিভাবকদের দাবি, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের নিয়মের বাইরে গিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ পড়ুয়াদের ফেল করিয়েছেন। তাদের অনেকেই থিয়োরিটিক্যাল এবং প্রজেক্ট বা প্র্যাক্টিক্যালে আলাদা ভাবে পাশ না করলেও দু’টি মিলিয়ে পাশ করেছে। সব মিলিয়েও ওদের পাশ নম্বর রয়েছে, তা-ও তাদের ফেল করানো হয়েছে। তবে সংসদের নিয়ম অনুযায়ী, দ্বাদশ শ্রেণিতে পাশের ক্ষেত্রে এই নিয়ম। একাদশ শ্রেণির ক্ষেত্রে এ নিয়ম খাটে না। এর পরেই পড়ুয়ারা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা শাশ্বতী অধিকারীর দফতরের সামনে ধর্নায় বসে পড়ে।
শাশ্বতীদেবী সোমবারই সংসদ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁর দাবি, তিনি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সংসদ কর্তৃপক্ষ তাতে স্থির থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। মঙ্গলবার অভিভাবকেরা সংসদে গেলে দেখা যায়, বেশ কয়েক জন তিন-চার বিষয়ে ফেল করেছে। থিয়োরিটিক্যাল এবং প্র্যাক্টিক্যালে আলাদা ভাবে পাশ না করলেও দু’টি মিলিয়ে কৃতকার্য তিন জন ছাত্রী। অভিভাবকদের দাবি, সংসদের আধিকারিকেরা তাঁদের জানান, স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিবেচনার জন্য লিখে পাঠালে তাঁরা ভেবে দেখবেন। ফের ওই অভিভাবকেরা স্কুলে গিয়ে শাশ্বতীদেবীর সঙ্গে দেখা করেন। এ দিন শাশ্বতীদেবী বলেন, ‘‘সংসদের নিয়মের বাইরে কোনও কাজ করা হয়নি। ফেল করা ছাত্রীদের পাশ করানোর কথা আমি কোনও ভাবেই লিখব না। ওঁরা সংসদ থেকে করিয়ে আনতে পারলে করুন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy