Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

কলকাতায় মৈত্রী-পাঠ নেপালের পড়ুয়াদের

তালিকায় আছে কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় এবং দিল্লি ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। তাদের মধ্যে কলকাতাই প্রথমে নেপালের পড়ুয়াদের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষিত বিশেষ পাঠ্যক্রম চালু করার সুযোগ পেল। রবিবার এই পাঠ্যক্রমের উদ্বোধন করেন আচার্য-রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। কয়েক মাস আগে নেপাল সফরে গিয়ে ভারত-নেপাল শিক্ষা মৈত্রী কার্যক্রমের কথা ঘোষণা করেন মোদী। সেই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হিসেবে তিনি জানান, দু’দেশের মধ্যে মৈত্রীর উপরে আরও জোর দেওয়ার জন্যই ভারতে নেপালের ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার বিশেষ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।

ভারত-নেপাল শিক্ষা মৈত্রী কার্যক্রমে একটি পাঠ্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। আছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসও। রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সল্টলেক ক্যাম্পাসে।  নিজস্ব চিত্র

ভারত-নেপাল শিক্ষা মৈত্রী কার্যক্রমে একটি পাঠ্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। আছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসও। রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সল্টলেক ক্যাম্পাসে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০১৪ ০২:৩৭
Share: Save:

তালিকায় আছে কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় এবং দিল্লি ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। তাদের মধ্যে কলকাতাই প্রথমে নেপালের পড়ুয়াদের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষিত বিশেষ পাঠ্যক্রম চালু করার সুযোগ পেল। রবিবার এই পাঠ্যক্রমের উদ্বোধন করেন আচার্য-রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী।

কয়েক মাস আগে নেপাল সফরে গিয়ে ভারত-নেপাল শিক্ষা মৈত্রী কার্যক্রমের কথা ঘোষণা করেন মোদী। সেই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হিসেবে তিনি জানান, দু’দেশের মধ্যে মৈত্রীর উপরে আরও জোর দেওয়ার জন্যই ভারতে নেপালের ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার বিশেষ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। দু’দেশেরই দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নত করার অঙ্গ হিসেবে এই পাঠ্যক্রমে মূলত এ দেশের ইতিহাস, রাজনীতি, অর্থনীতি, সামাজিক এবং সংস্কৃতি বিষয়ে পঠনপাঠন চালানো হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের ২৪ দিনের এই বিশেষ পাঠ্যক্রমের পঠনপাঠন চলবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আলিপুর এবং সল্টলেকের ন্যানো টেকনোলজি ক্যাম্পাসে।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রথমে এই পাঠ্যক্রম পড়ানোর সুযোগ পাওয়ায় আচার্য ত্রিপাঠী এবং রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় দু’জনেই এ দিনের অনুষ্ঠানে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এই কর্মসূচির পুরো টাকা দেওয়া হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি-র মাধ্যমে। বিশেষ এই পাঠ্যক্রমে কী কী পড়ানো হবে, তা ঠিক করে দিয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। আপাতত এতে যোগ দিচ্ছেন নেপালের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের জনা কুড়ি পড়ুয়া। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস জানান, পুজোর পরে সহ-উপাচার্য ধ্রুবজ্যোতি চট্টোপাধ্যায় এবং তিনি নেপাল গিয়ে ছাত্রছাত্রী বাছাই চূড়ান্ত করেছেন। এই পাঠ্যক্রমে বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সঙ্গে সঙ্গে পড়ুয়াদের কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকার বিভিন্ন ঐতিহাসিক জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে।

কলকাতায় নেপালি দূতাবাসের পক্ষ থেকে চন্দ্র ঘিমিরে, কাঠমান্ডুর ভারতীয় দূতাবাসের এন খুরানাও এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE