E-Paper

তদন্তে রেকর্ডিংয়ের খরচ পুলিশকর্মীদের দিতে প্রস্তাব ভবানী ভবনের

সূত্রের খবর, যে পুলিশকর্মীরা তাঁদের মোবাইলে অডিয়ো এবং ভিডিয়ো রেকর্ডিং করছেন, তাঁদের এই কাজের জন্য বছরে সাড়ে তিনহাজার টাকা দিতে সম্প্রতি ভবানী ভবনের তরফে নবান্নে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

শিবাজী দে সরকার

শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৫ ০৭:৫০
তদন্তকারীদের বছরে এককালীন টাকা দিতে চাইছে ভবানী ভবন।

তদন্তকারীদের বছরে এককালীন টাকা দিতে চাইছে ভবানী ভবন। —প্রতীকী চিত্র।

ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার (বিএনএসএস) ১০৫ ধারা অনুযায়ী, কোনও ঘটনার তদন্ত-প্রক্রিয়ায় এবং তথ্যপ্রমাণ বাজেয়াপ্ত করার সময়ে তার অডিয়ো এবং ভিডিয়ো রেকর্ডিং বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সেই কারণে বর্তমানে সব মামলার ক্ষেত্রেই তদন্তে নেমে সংশ্লিষ্ট যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ ভিডিয়ো রেকর্ডিং করছেন তদন্তকারী পুলিশকর্মী এবং অফিসারেরা। যা পরে পাঠানো হচ্ছে আদালতে। পুলিশ সূত্রের খবর, এই রেকর্ডিং করার জন্য পুলিশকর্মীরা বর্তমানে তাঁদের নিজস্ব মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন। সেখান থেকেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে তাঁরা সেই রেকর্ডিং পাঠাচ্ছেন আদালতে বা সার্ভারে। এ বার ব্যক্তিগত মোবাইলের ইন্টারনেট ডেটা ব্যবহার করার জন্য পুলিশকর্মী, অর্থাৎ তদন্তকারীদের বছরে এককালীন টাকা দিতে চাইছে ভবানী ভবন। সূত্রের খবর, যে পুলিশকর্মীরাতাঁদের মোবাইলে এই অডিয়ো এবং ভিডিয়ো রেকর্ডিং করছেন, তাঁদের এই কাজের জন্য বছরে সাড়ে তিনহাজার টাকা দিতে সম্প্রতি ভবানী ভবনের তরফে নবান্নে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

এক পুলিশকর্তা জানান, বর্তমানে পুলিশকর্মীরা নিজেদের খরচে সরকারি কাজে ইন্টারনেট ডেটা ব্যবহার করে থাকেন। তার খরচ বাবদ বছরে ওই টাকা তাঁদের দেওয়ার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। রেকর্ডিং করার সময়কার অন্যান্য খরচ পরবর্তী সময়ে পুলিশকর্মীদের দেওয়া যায় কিনা, তা-ও ভাবনায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশকর্তারা। তবে তাঁদের একাংশের মতে, বর্তমানে রাজ্য সরকার আর্থিক সঙ্কটে ভুগছে। ফলে, তদন্তকারীদের টাকা দেওয়ার এই প্রস্তাব মেনে নেওয়ার অর্থ, রাজ্যের ঘাড়ে আবার চাপতে পারে বাড়তি বোঝা। তাই রাজ্য প্রশাসন এই প্রস্তাব মানবে কিনা, তা নিয়ে সন্দিহান পুলিশকর্তারাই।

পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলাকালীন কোনও অনিয়ম বা ক্ষমতার অপব্যবহারের আশঙ্কা কমাতেই পুরো প্রক্রিয়াকে অডিয়ো এবং ভিডিয়ো রেকর্ডিংয়ের আওতায় আনা হয়েছে। এর ফলে অনিয়মের ঘটনা কমেছে বলে দাবি পুলিশের একাংশের।

অন্য দিকে সূত্রের খবর, ডগ স্কোয়াডের কর্মীদের জন্য রাজ্য পুলিশের তরফে ঝুঁকি ভাতার (রিস্ক অ্যালাওয়েন্স) প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে নবান্নে। প্রসঙ্গত, রাজ্যের সব জেলায় ডগ স্কোয়াড না থাকলেও কিছুজেলায় এবং রেল পুলিশে ডগ স্কোয়াড রয়েছে। তদন্তে সহযোগিতা থেকে শুরু করে ভিভিআইপি-দের সভাস্থল পরীক্ষা, কিংবা কোথাও বোমা রাখা আছে কিনা— সব ক্ষেত্রেই প্রথমে যেতে হয় এই দলের কর্মীদের। এমন ক্ষেত্রে প্রায় সব সময়েই নাশকতার আশঙ্কা থাকে। সে কারণেই ডগ স্কোয়াডের কর্মীদের জন্য ঝুঁকি ভাতার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে খবর।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Nabanna Bidhan Nagar

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy