এক অসুস্থ তরুণীর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের সদর পর্যন্ত বাস নিয়ে গেলেন বিধাননগরের এক মহিলা পুলিশকর্মী। ঘটনাটি ঘটেছিল গত শুক্রবার সন্ধ্যায়। তবে বুধবার ওই তরুণী বিষয়টি ফেসবুকে লিখলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
তরুণীর কথায়, শুক্রবার ছিল তাঁর সান্ধ্য ডিউটি। রাত ১০টা নাগাদ বেলেঘাটা বিল্ডিং মোড় থেকে বাড়ি ফেরার জন্য রুবি মোড়গামী সরকারি বাস ধরেন চেতলার শতাব্দী বসু। বুধবার তিনি জানান, চিংড়িঘাটা মোড় পার হওয়ার পরে আচমকা তাঁর হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়। সংজ্ঞা হারানোর আগে পাশের যাত্রীকে শুধু বলতে পেরেছিলেন, ‘হেল্প’। পরে শতাব্দী জানতে পারেন, তাঁর চোখেমুখে জল দিয়ে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে তৎপর হন বিধাননগর কমিশনারেটের এএসআই অপর্ণা দাস নামে ওই যাত্রীই। এমনকি, বাসচালক রুবি মোড়ে তাঁকে নামানোর কথা বললে প্রতিবাদ করেন অপর্ণা। এর পরেই নিজের পরিচয় দিয়ে হাসপাতালের গেট পর্যন্ত চালককে বাস নিয়ে যেতে বাধ্য করেন তিনি।
গত বুধবার বালিঘাট মোড়ে ট্র্যাফিক পুলিশের মানবিক মুখের পরিচয় পেয়েছিলেন দমদম ক্যান্টনমেন্টের বাসিন্দা কামনাশিস সমাদ্দার। বালি ট্র্যাফিক গার্ডের এএসআই অমল কর্মকার ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখতে চাইলে কামনাশিস দেখেন, তিনি মানিব্যাগ আনতেই ভুলে গিয়েছেন। ওই যুবককে
সাহায্য করেন অমলবাবুই। রবিবার বাইপাসে বাংলাদেশ থেকে আসা রোগীকে টাকা দিয়ে সাহায্য করেন কলকাতা পুলিশের ট্র্যাফিক সার্জেন্ট গৌতম গুহ।
এ দিন শতাব্দী বলেন, ‘‘রক্তচাপ ৮০/৬০ হওয়ায় সংজ্ঞা হারাই। রাস্তায় কেউ অসুস্থ হলে বেশির ভাগই মুখ ঘুরিয়ে নেন। আমাদের এমনই আরও অপর্ণা দাস দরকার।’’ আর অপর্ণা বলছেন, ‘‘কর্তব্যটুকুই তো করেছি!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy