ফাইল চিত্র।
ছোট ছোট চারটে খাঁচায় ৩৮টি পাখি গাদাগাদি করে রাখা। সবগুলোই বিদেশি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কলকাতা থেকে উড়ানে হায়দরাবাদ যাওয়ার কথা ছিল পাখিগুলির। বিমান সংস্থার পণ্য বিভাগে রাখা হয়েছিল তাদের।
সাধারণত বিমানের পেটে যেখানে পণ্য থাকে, সেখানে অক্সিজেনের সরবরাহ থাকে না। কিন্তু, যে বিমানের পেটের ভিতরে জীবন্ত পশু-পাখি নিয়ে যাওয়া হয়, সেই বিমানের পাইলটকে আগেভাগে তা জানিয়ে দেওয়া হয়। ককপিটের একটি বোতাম টিপে পণ্য কেবিনে অক্সিজেন সরবরাহ চালু করে দেন পাইলট।
বৃহস্পতিবার বিমানে ওঠার আগেই অবশ্য ওই ৩৮টি পাখি বাজেয়াপ্ত করেন ‘ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স’ (ডিআরআই)-এর অফিসারেরা। যে ব্যক্তি ওই পাখি নিয়ে যাচ্ছিলেন, তিনি ওই বিমানেই যাত্রী হিসেবে বসে ছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকারকে কর না দিয়ে বিদেশ থেকে পাখি আনার অভিযোগে তাঁকে নামিয়ে এনে গ্রেফতার করা হয়।
ডিআরআই সূত্রের খবর, ধৃতের নাম আফতাব আলম ওরফে বাবলু। অভিযোগ, গত ২৮ জুন আফতাব বিদেশি পাখি পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন ডিআরআই-এর হাতে। ২০ জুলাই তিনি জামিন পান। জামিন পাওয়ার মাত্র দু’মাসের মধ্যেই তিনি আবার একই অপরাধে জড়িয়েছেন দেখে বিস্মিত ডিআরআই-কর্তারা।
বাজেয়াপ্ত করা ১৫টি জাভা স্প্যারো, ৬টি স্টার ফিঞ্চ, ৮টি গোল্ডেন ফিঞ্চ, ৩টি আরকারি এবং ৬টি কাকাতুয়া তুলে দেওয়া হয়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের হাতে। ডিআরআই জানিয়েছে, জাভা এসেছে ইন্দোনেশিয়া থেকে, ফিঞ্চ আর কাকাতুয়া অস্ট্রেলিয়া থেকে এবং আরকারি দক্ষিণ আমেরিকা থেকে। এই সব পাখি বৃহস্পতিবারই বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে উত্তর ২৪ পরগনায় ঢোকে। ওই পাখিগুলি চড়া দামে কিনে ব্যক্তিগত সংগ্রহে রাখেন অনেক ধনী ব্যক্তি।
এই বিদেশি পাখি বাড়িতে রাখা অপরাধ নয়। কিন্তু সরকারি কর ফাঁকি দিয়ে এগুলি দেশে নিয়ে এলে সেই অপরাধে সাত বছর পর্যন্ত সাজা হতে পারে বলে ডিআরআই জানিয়েছে। কলকাতার তিলজলার বাসিন্দা আফতাবকে শুক্রবার বারাসত আদালতে তোলা হলে তাঁকে আবার জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy