মহানগর দখলে মাঠে নেমে লড়াই তো দূর অস্ত্, শাসক দলের বিরুদ্ধে সামান্য লড়াইটুকু দিতেও ঘাম ছুটে গেল বিজেপির। ফলে লোকসভা নির্বাচনে ভোটের পরিমাণ এক লাফে অনেকটা বাড়ায় যে আশার আলো দেখেছিলেন তাঁরা, তা শেষ পর্যন্ত ডুবে গেল অন্ধকারে। এবং একই ভাবে মাঠের বাইরে দাঁড়িয়ে আত্মসমর্পণ করল আর এক বিরোধী কংগ্রেসও।
এ রাজ্যে বিজেপির সংগঠন যে কতটা নড়বড়ে, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল প্রার্থী বাছাইয়ের সময় রাজ্যের সদর দফতরে মারপিটের ঘটনায়। এ দিনও বোঝা গিয়েছে, শাসক দলকে মোকাবিলার মতো কৌশল কিছুই নেই বিজেপি নেতৃত্বের ভাঁড়ারে। রূপা গঙ্গোপাধ্যায় বা লকেট চট্টোপাধ্যায় তবু সন্ত্রাসের অভিযোগ পেয়ে সেই সব এলাকায় গিয়ে কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ওই পর্যন্তই। বিজেপি কর্মীদের কেউ কেউ বলেছেন, তৃণমূল যে ভাবে আটঘাট বেঁধে সন্ত্রাস করতে নেমেছিল, তাতে এটুকু মোটেও যথেষ্ট নয়।
কেমন ভাবে ‘সন্ত্রাসের আবহ’ তৈরি করেছিল শাসক দল? অনেকেরই বক্তব্য, শুধু ভোটের দিন বুথ দখল, ছাপ্পা, ভোটার বা বিরোধী কর্মীদের উপরে চড়াও হওয়ায়ই নয়, সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করতে পূর্বসুরি সিপিএমের দেখানো কোনও পথই প্রায় বাদ দেয়নি তৃণমূল। বিজেপির যেমন অভিযোগ, ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি কর্মীদের বাড়ি বাড়ি থান কাপড় পাঠিয়ে ভয় দেখিয়েছে। ওই ওয়ার্ডে প্রার্থীর এজেন্টকে মারধরও করা হয়েছে। বাম আমলে ঠিক এ ভাবেই ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করা হতো। এ যেন সেই মুদ্রারই অন্য পিঠ, বলছেন বিজেপি কর্মীরা।