সাধের: লাউ ফলেছে ছাদে। দেখে মুগ্ধ দুই মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু এবং ফিরহাদ হাকিম। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র
রক্ষণাবেক্ষণ হয় না, ছাদের পলেস্তারা খসে জল চুঁইয়ে পড়ছে। সংস্কারের খরচও বিস্তর। এমনই সব সরকারি অফিসের ছাদে এ বার জৈব আনাজ চাষের পরিকল্পনা করছে রাজ্য সরকার। এতে এক দিকে যেমন বাড়িটির রক্ষণাবেক্ষণ হবে, তেমনি কৃষিকাজে উৎসাহ দিয়ে শহরবাসীকে রোজগারের একটা দিশা দেওয়া যাবে। বৃহস্পতিবার নিউ টাউনে এমনটাই জানালেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
এ দিন নিউ টাউনের সি বি ব্লকের ১সি বাজারের ছাদে একটি জৈব চাষ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও কৃষিমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। সেখানেই সরকারি অফিসের ছাদে জৈব চাষের পরিকল্পনার কথা জানান পুরমন্ত্রী। পূর্ণেন্দুবাবু জানান, তাঁর পরিকল্পনা শহরে অরগ্যানিক বা জৈব রেস্তোরাঁ তৈরির। যেখানে জৈব আনাজ থেকে তৈরি খাবার মিলবে। কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘‘এমন রেস্তোরাঁ দেশে কোথাও নেই। জায়গার অভাবে এখানে করা যাচ্ছে না।’’ শুনেই পুরমন্ত্রী বলেন, ‘‘নিউ টাউনে ইকো পার্কে জৈব রেস্তোঁরা তৈরির জায়গা দেওয়া হবে কৃষি দফতরকে। যে সব সরকারি ভবনের ছাদ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হচ্ছে, সেখানে চাষের সুযোগ দেব। ছাদের দেখভালের সঙ্গে অনেকে উপকৃত হবেন। বিষয়টি দেখবে কৃষি দফতর।’’ নিউ় টাউন কলকাতা ডেভলপমেন্ট অথরিটির (এনকেডিএ) চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন বলেন, ‘‘শুক্রবার থেকে বাজারের ছাদের জৈব আনাজ বিক্রি হবে। দাম হবে বাজার চলতি জৈব আনাজের চেয়ে ১০ শতাংশ কম।’’ এনকেডিএ কর্তৃপক্ষ জানান, অপ্রচলিত শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বাগানটি তৈরি হয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী পূর্ণেন্দুবাবু ইতিমধ্যেই নবান্নে জানান, বাঁকুড়া, দুই ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুরে কীটনাশক ব্যবহার না করেই জৈব সার দিয়ে আনাজ হচ্ছে। তা শহরে এনে বিক্রির কথা ভাবা হয়েছে। জৈব চাষকে উৎসাহ দিতে এই উদ্যোগ কৃষি ও কৃষি বিপণন দফতরের। চাষিদের গাড়ি দিয়ে সাহায্য করা হবে। সুফল বাংলার স্টল, বিভিন্ন আবাসন, বাজারেও ওই আনাজ বিক্রি হবে বলে জানান মন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy