Advertisement
১১ মে ২০২৪
Dead Body

শ্বশুরবাড়িতে উদ্ধার তরুণীর দেহ

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ছয়েক আগে আজহারউদ্দিনের সঙ্গে বিয়ে হয় মধ্যমগ্রামের দিগবেড়িয়ার বাসিন্দা রেশমার। তাঁদের তিন বছরের একটি মেয়ে আছে।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০২০ ০১:৩০
Share: Save:

শ্বশুরবাড়িতে অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক তরুণীর। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে দত্তপুকুর থানার বামনগাছির মণ্ডলগাঁতি এলাকায়। মৃতার নাম রেশমা খাতুন (২৫)। তাঁর বাবা নুর ইসলামের অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁর মেয়েকে পরিকল্পনা করে হত্যা করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে মৃতার স্বামী শেখ আজহারউদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ছয়েক আগে আজহারউদ্দিনের সঙ্গে বিয়ে হয় মধ্যমগ্রামের দিগবেড়িয়ার বাসিন্দা রেশমার। তাঁদের তিন বছরের একটি মেয়ে আছে। মৃতার জামাইবাবু মশিয়ার রহমান বলেন, ‘‘শ্বশুরবাড়ির লোকজন রেশমাকে বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিতেন। দাবি মতো টাকা দিতে না-পারায় নির্যাতন করা হত। রেশমার সমস্ত গয়না ওঁরা কেড়ে নিয়ে বিক্রি করে দিয়েছেন।’’ পরিজনেদের আরও অভিযোগ, রেশমার শ্বশুর মত্ত অবস্থায় তাঁর উপরে অত্যাচার চালাতেন। তাঁকে কুপ্রস্তাবও দিতেন। তাতে মদত দিতেন স্বামী এবং শাশুড়ি।

পুলিশ জানিয়েছে, শ্বশুরবাড়ির লোকজন গলায় ওড়নার ফাঁস দেওয়া অবস্থায় রেশমাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যান। তখনও তিনি বেঁচে ছিলেন। সেখান থেকে তাঁকে ফের বাড়ি নিয়ে আসা হয়। পরে বারাসত জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তরুণীকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ দিন বিকেলে রেশমার শ্বশুরবাড়ির এলাকার বাসিন্দাদের থেকে তাঁর মৃত্যুর কথা জানতে পারেন নুর ইসলামেরা। তাঁরা এসে দেখেন, বাড়িতে কেউ নেই। এর পরে বারাসত জেলা হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারেন, রেশমা মারা গিয়েছেন। অভিযোগ, এর পরে ওই তরুণীর আত্মীয়েরা তাঁর শ্বশুরবাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালান। মশিয়ার বলেন, ‘‘রবিবার রেশমাকে আনতে ওঁর শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন বাবা। সেখানে তাঁকে বলা হয়েছিল, সপ্তাহখানেক পরে মেয়েকে বাড়ি পাঠানো হবে। তার পরেই এই ঘটনা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Dead Body Bamangachi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE