Advertisement
E-Paper

সুরতের পার্সেল খুলতেই ‘টাইম বোমা’, আতঙ্ক ঠনঠনিয়ায়

যে ঠিকানা থেকে ক্যুরিয়ার এসেছিল, সেই ঠিকানায় তাঁর পরিচিত কেউ থাকেন না বলে জানিয়েছেন ওই দোকানের মালিক বিশাল জায়সওয়াল। তা হলে কে বা কারা এ ভাবে ক্যুরিয়ার করে পার্সেল পাঠাল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০১৮ ১৯:৩৯
পার্সেলের ভিতরে এই ধরনের টাইমার লাগানো বিভিন্ন যন্ত্রাংশ মিলেছে। —নিজস্ব চিত্র।

পার্সেলের ভিতরে এই ধরনের টাইমার লাগানো বিভিন্ন যন্ত্রাংশ মিলেছে। —নিজস্ব চিত্র।

গুজরাতের সুরত থেকে কলকাতায় ক্যুরিয়ারে এল ‘টাইম বোমা’! শুক্রবার দুপুরে উত্তর কলকাতার বিধান সরণির ঠনঠনিয়া কালীবাড়ির কাছে গাড়ির যন্ত্রাংশের এক দোকানের ঠিকানায় একটি পার্সেল আসে। সেই বাক্স খুলতেই দেখা যায়, ভিতরে টাইমার লাগানো বিভিন্ন যন্ত্রাংশ রয়েছে!

আতঙ্কে দোকানের কর্মীরা সঙ্গে সঙ্গেই কলকাতা পুলিশে খবর দেন। তত ক্ষণে ওই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়়ে। এর মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড। এলাকা খালি করে পার্সেলটি পরীক্ষা করে দেখা হয়। পরে সেটা লালবাজারে নিয়ে যান স্কোয়াডের কর্মীরা। জানা যায়, টাইমবোমার মতো দেখতে হলেও সেটি আসলে নকল।

যে ঠিকানা থেকে ক্যুরিয়ার এসেছিল, সেই ঠিকানায় তাঁর পরিচিত কেউ থাকেন না বলে জানিয়েছেন ওই দোকানের মালিক বিশাল জায়সওয়াল। তা হলে কে বা কারা এ ভাবে ক্যুরিয়ার করে পার্সেল পাঠাল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ধরনের খবরে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিশাল জানিয়েছেন, “গাড়ির যন্ত্রাংশ বিক্রি করি। অনেকেই ক্যুরিয়ারে বিভিন্ন জিনিসপত্র পাঠান। আমারাও পাঠাই। এ দিন দুপুরে একটি পার্সেল আসে। বাক্স খুলতেই ঠিক টাইম বোমার মতোই যন্ত্রাংশ দেখেই চমকে যান কর্মীরা। আমাকে খবর দেওয়া হয়। আমিও ভয় পেয়ে যাই। তার পর পুলিশকে জানাই।” তাঁর আরও সংযোজন, “টাইম ঘড়ি লাগানো ছিল। দেখে মনে হচ্ছিল এখুনি ফেটে যাবে। পুলিশ না আসা পর্যন্ত ভয়ে কাঁপছিলাম। এমন ভাবে কেউ পার্সেল পাঠাতে পারে ভাবতেই পারছি না।”

আরও পড়ুন: নির্বিষ চিতিকে চন্দ্রবোড়া ভেবে হাজরায় হুলস্থুল
আরও পড়ুন: এক বার অনুমতি দিন মমতা, রথের দড়ি-চাকা কিছুই থাকবে না, বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের

এ বিষয়ে কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, হুবহু টাইম বোমার মতোই দেখতে ছিল ভিতরটা। বম্ব স্কোয়াড পরীক্ষা করে দেখে। তাঁর কথায়, ‘‘মনে হচ্ছে, কাউকে ভয় দেখাতে ঠিক টাইম বোমার মতোই বাক্সটি বানানো হয়েছিল। বিষয়টি হালকা ভাবে নেওয়া হচ্ছে না। যেই এই কাজ করে থাকুক না কেন, কড়া পদক্ষেপ করা হবে। ওই দোকানের মালিকেরা সঙ্গে কারও শত্রুতা রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

(শহরের সেরা খবর, শহরের ব্রেকিং নিউজ জানতে এবং নিজেদের আপডেটেড রাখতে আমাদের কলকাতা বিভাগ পড়ুন।)

ঠনঠনিয়া Crime Surat Thanthania Kalibari
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy