শব্দ-দানব: বিভিন্ন রুটের অটোয় বাজে গান। —নিজস্ব চিত্র
বিকেল সাড়ে চারটে। হাজরা মোড় সংলগ্ন একটি সিনেমা হলের বিপরীতে টালিগঞ্জ-হাজরা রুটের অটো-স্ট্যান্ড। একের পর এক অটো আসছে আর যাত্রী নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। এমন সময়ে বছর কুড়ির এক যুবক জোরে গান বাজাতে বাজাতে অটো নিয়ে ঢুকলেন স্ট্যান্ডে। এক যাত্রী সেটা বন্ধ করতে অনুরোধ করলে চালক শুনলেন না। এর পরেই জোর গলায় বলে উঠলেন, ‘‘ভাই, বন্ধ করো। না হলে আমি ট্র্যাফিক পুলিশ ডাকতে বাধ্য হব।’’
রাত সাড়ে আটটা। টালিগঞ্জ-কবরডাঙা রুটের অটোচালক এত জোরে গান চালিয়েছেন যে পাশের লোকের কথা শোনা যাচ্ছে না। গান বন্ধ করতে বলায় চালক মাঝ রাস্তায় অটো থামিয়ে এক যাত্রীকে নেমে যেতে বাধ্য করলেন। অটোর ভিতরে তারস্বরে গান বাজানোর রেওয়াজ ধর্মতলা-পার্কসার্কাস রুটেও নিয়মিত হয় বলে নিত্য যাত্রীদের অভিযোগ ছিল। এমনকী এই রুটে গান বাজানো বন্ধ নিয়ে যাত্রী ও চালকের বচসাও নতুন কিছু নয়।
অথচ ট্র্যাফিক পুলিশের স্পষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে, অটোয় মিউজিক সিস্টেম রাখা যাবে না। আগেও সেই নির্দেশ না মেনে দুর্ঘটনায় পড়েছে বেশ কিছু অটো। আজও তা মানা
হয় না অধিকাংশ রুটেই। উপরন্তু বাস্তবে নিয়ম কে বু়ড়ো আঙুল দেখানোর এই ছবি বাড়ছে বলেই অভিযোগ উঠছে।
এত দিন এই রুটগুলি ছাড়া শহরের অন্য রুটগুলিতে ট্র্যাফিকের নজরদারি বেশি থাকায় অটোয় ‘মিউজিক সিস্টেম’ রাখতে পারেন না চালকেরা। সম্প্রতি অন্য রুটেও জোরে গান বাজানো শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ আসছে। এক সময়ে এই অভিযোগের ভিত্তিতে অটোয় পুলিশি অভিযানও চলেছে।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রথম) বিনীত গোয়েল জানান, অটোয় সাউন্ড সিস্টেম রাখা বেআইনি। কোন রুটের কোন অটো তা লাগাচ্ছে, সে নিয়ে নির্দিষ্ট অভিযোগ না এলে কাউকে ধরা অসম্ভব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy