এত্তা জঞ্জাল!
রবিবার বিকেল থেকে শুরু করে সোমবার সারা দিন পরেও পরিষ্কার হল না পুরো ব্রিগেড। যদিও সিপিএম সূত্রে খবর, সোমবার সকাল থেকে ৪৪৮ জন লোককে ময়দান পরিষ্কারের কাজে নামানো হয়েছিল। তবে এ দিন বিকেলেও ওই চত্বরে খবরের কাগজ, প্লাস্টিকের ব্যাগ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকতে দেখা যায়।
এ দিন ব্রিগেডে গিয়ে দেখা যায়, দলের দু’জন কর্মী ময়দান পরিষ্কারের কাজের তদারকি করছেন। তাঁরাই জানালেন, সাফাইয়ের এই কাজের জন্য ময়দানে নেমেছেন ৩৩০ জন দলীয় কর্মী এবং ১১৮ জন ঠিকা শ্রমিক। তবে শুধু ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড নয়, পরিষ্কার করতে হবে শহিদ মিনারের মাঠ, মহিলা গল্ফ কোর্স ও সাগর মেলার মাঠও।
সোমবার বিকেল পর্যন্ত ব্রিগেডের মূল মঞ্চের আশপাশ পরিষ্কার করা হলেও রাস্তা সংলগ্ন এলাকা ছিল অপরিষ্কার। সেখানে গিয়ে জনা দশেক লোককে ময়দান সাফ করতে দেখা যায়। তা হলে বাকি লোকজন গেলেন কোথায়? পরিষ্কারের কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা সিপিএমের এক কর্মী আব্দুল লউফের দাবি, ‘‘বাকিরা শহিদ মিনারের মাঠ, মহিলা গল্ফ কোর্স, সাগর মেলার মাঠ-সহ অন্যান্য জায়গা পরিষ্কারের কাজে ব্যস্ত রয়েছেন।’’ তবে সে সব এলাকা ঘুরেও সাফাইয়ের কাজে জনা দশেক করে লাল টুপি পরা সিপিএম কর্মীকেই দেখা গিয়েছে।
তবু ব্রিগেডের হাল এমনই। সোমবার বিকেলে।
রবিবারই সমাবেশ শেষ হওয়ার পরে ২০০৭ সালের কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায় অমান্য করার অভিযোগ উঠেছিল। অনেক জায়গায় উনুন জ্বালিয়ে রান্না করতে দেখা গিয়েছিল সমবেশে আসা কিছু লোকজনকে। অথচ আদালতের রায় ছিল, ভিক্টোরিয়ার তিন কিলোমিটারের মধ্যে উনুন জ্বালানো যাবে না। এই ঘটনার জন্য সিপিএমের এক রাজ্য নেতা দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন। প্রশ্ন উঠেছিল দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ভূমিকা নিয়েও।
সোমবার আব্দুল লউফ বলেন, ‘‘মঙ্গলবার সেনাবাহিনীর কর্তারা মাঠ পরিদর্শনে আসবেন। দলের নেতারাও থাকবেন সেই সময়ে। তার আগে পুরো মাঠটা পরিষ্কার করতেই হবে।’’
ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য