দীপেন দাস
দিদিকে মারধরের প্রতিবাদ করায় শ্যালককে খুনের অভিযোগ উঠল জামাইবাবুর বিরুদ্ধে। শ্যালক দীপেন দাস (২৬) শনিবার সকালে হাসপাতালে মারা গিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে সোনারপুর থানার ধামাইতালা এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৫ সেপ্টেম্বর সকালে শ্বশুরবাড়িতে এসেছিল অভিযুক্ত সুরজিৎ মিত্র। দীপেনকে বাড়ির বাইরে ডেকে নেয় সে। তার পরে তাঁর উপরে হামলা চালায়। দীপেনকে ছুরি দিয়ে আঘাতের পাশাপাশি মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম দীপেনকে প্রথমে সুভাষগ্রাম গ্রামীণ হাসপাতাল ও পরে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে এ দিন মারা যান তিনি।
২০১১ সালে সোনারপুরের ধামাইতলার বাসিন্দা লক্ষ্মী দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় বৈষ্ণবঘাটার বাসিন্দা সুরজিতের। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির সম্পত্তি ও টাকা পাওয়ার লোভে স্ত্রীকে মারধর করত সুরজিৎ। এমনকি, সে শ্বশুর-শাশুড়ির গায়েও হাত তুলত বলে অভিযোগ। সোনারপুর থানায় এ নিয়ে অভিযোগও দায়ের হয়েছিল। কিন্তু সুরজিৎ বদলায়নি। মাঝেমধ্যেই শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে সে খুনের হুমকি দিত বলে অভিযোগ।
স্বামীর অত্যাচারে থাকতে না পেরে বছরখানেক আগে বাবা-মায়ের কাছে চলে আসেন লক্ষ্মী। অভিযোগ, এর পরেও মাঝেমধ্যেই শ্বশুরবাড়িতে এসে সবাইকে মারধর করত সুরজিৎ। গত অগস্টে এক দিন তাঁর দিদিকে মারধরের ঘটনার প্রতিবাদ করেন দীপেন। অভিযোগ, তার পরেই শ্যালককে নিয়মিত খুনের হুমকি দিচ্ছিল সুরজিৎ। ১৫ সেপ্টেম্বর সকালে এসে দীপেনের উপরে হামলা চালায় সে। দীপেনের মৃত্যুর পরে স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন স্ত্রী লক্ষ্মী। স্বামীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান তিনি। সুরজিৎকে পুলিশ এখনও ধরতে পারেনি। তবে তার বাবাকে আটক করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy