Advertisement
E-Paper

ফার্ন রোডে পরিচারিকার অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার

অগ্নিদগ্ধ হওয়ার ঘটনা শুনে রাতেই চলে আসেন বাসন্তী দেবীর আত্মীয় পরিজনেরা। পরে তাঁরা হাসপাতাল থেকেই গড়িয়াহাট থানার পুলিশকে বিষয়টি জানান।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৮ ১৭:০৫
অভিনেত্রী সন্ধ্যারানি চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে কাজ করতেন ওই পরিচারিকা।—প্রতীকী ছবি।

অভিনেত্রী সন্ধ্যারানি চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে কাজ করতেন ওই পরিচারিকা।—প্রতীকী ছবি।

দক্ষিণ কলকাতার ফার্ন রোডে একটি বাড়ি থেকে এক পরিচারিকার অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। ওই বাড়িটি অভিনেত্রী সন্ধ্যারানি চট্টোপাধ্যায়ের।তিনি যদিও বেশ কয়েক বছর আগেই মারা গিয়েছেন।

ওই মহিলা আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে প্রাথমিক ময়না-তদন্তে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। বাসন্তী গায়েন নামে ওই মহিলা কেন আত্মহত্যা করতে পারেন, তা নিয়ে এখনও অন্ধকারে পুলিশ। বুধবার সকালে ওই বাড়িতে গিয়ে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেছে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের একটি দল।

ওই অভিনেত্রীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বাসন্তী গায়েনের আধপোড়া দেহ। গভীর রাতেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরীক্ষার পর চিকিৎসকেরা দেখেন, বাসন্তীর মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বিষয়টি জানানো হয় তাঁর পরিবারকে। এর পর গড়িয়াহাট থানাকে বিষয়টি জানানো হয়।সন্ধ্যারানির ফার্ন রোডের বাড়িতেই থাকতেন বাসন্তী দেবী। ওই বাড়িতে তিন দশক আগে পরিচারিকার কাজে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।

অগ্নিদগ্ধ হওয়ার ঘটনা শুনে রাতেই চলে আসেন বাসন্তী দেবীর আত্মীয় পরিজনেরা। পরে তাঁরা হাসপাতাল থেকেই গড়িয়াহাট থানার পুলিশকে বিষয়টি জানান। ঠিক কী কারণে, মৃত্যু এখনও স্পষ্ট নয়। ময়নাতদন্ত হলে, তবেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।আপাতত অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। এই ঘটনায় অভিনেত্রীর ছেলে আশিস চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: রোজ নাম বদলাচ্ছে ওরা, বাংলা নিয়ে চুপ কেন, তোপ মমতার​

আরও পড়ুন: প্রাক্তন সঙ্গীর তিরে লন্ডনে মৃত্যু ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহিলার, নিরাপদে বার করা হল গর্ভস্থ শিশু​

জানা গিয়েছে, বাসন্তী দেবীর বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। অভিনেত্রীর শেষ বয়সেও তিনি দেখভাল করতেন। তাই সন্ধ্যারানির মৃত্যুর পরেও পরিবারের লোকজন তাঁকে রেখে দেন। বাসন্তী দেবীর মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পুলিশ জানায়, ফার্ন রোডের ওই বাড়িটিতে থাকতেন প্রয়াত অভিনেত্রী সন্ধ্যারানি চট্টোপাধ্যায়। তাঁর মৃত্যুর পরে এখন সেখানে বসবাস করেন অভিনেত্রীর ছেলে আশিস চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর পরিবার। মৃত্যুর আগে সন্ধ্যারানিদেবী একটি হোম থেকে বাসন্তীদেবীকে এনে নিজের বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছিলেন। তার পর থেকে গত ৪০ বছর ওই বাড়িতেই থাকতেন বাসন্তীদেবী।
পুলিশের কাছে আশিসবাবু জানিয়েছেন, মানসিক ভাবে অসুস্থ ছিলেন বাসন্তীদেবী। তাঁর চিকিৎসাও চলছিল। বাসন্তীদেবীর চিকিৎসা সংক্রান্ত বেশ কিছু নথিও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বছর সত্তরের আশিসবাবু জানিয়েছেন, দু’মাস আগে একটি দুর্ঘটনার কারণে তাঁর স্ত্রী ও কন্যা কেরলে থাকেন। তাই ঘটনার দিন বাড়িতে তিনি এবং বাসন্তীদেবীই বাড়িতে ছিলেন। পুলিশের কাছে আশিসবাবুর দাবি, ওই দিন বেলা ১২টা নাগাদ তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। বিকেল ৪টে নাগাদ ফিরে এসে দেখেন, ঘরের ভিতরে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছেন বাসন্তীদেবী। ঘরের মেঝেতে পড়ে রক্ত। এর পরেই তিনি বাসন্তীদেবীকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে বাসন্তীদেবীকে ভর্তি নেওয়া হয়নি। পরে ন্যাশনাল মেডিক্যালে মারা যান তিনি।
পুলিশের অনুমান, আগুন লাগার পরে বাসন্তীদেবী ছুটে শৌচাগারে যেতে চেয়ে পড়ে গিয়ে কাঠের চেয়ারে লেগে কাপাল ও চোয়ালে আঘাত পান। তাতে ডান দিকের কপাল এবং চোয়ালে আঘাত লাগে এবং রক্ত পড়তে শুরু করে। ওই চেয়ার এবং দেওয়ালে রক্তের দাগ মিলেছে। চেয়ারটি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।

Maid Charred Body Kolkata Police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy