ফাঁসিতলায় অটোচালককে মারধর এক বন্ধ সমর্থকের
বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বাংলা বন্ধকে কেন্দ্র করে বুধবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত রইল হাওড়া শহর।
এ দিন সকালে বন্ধ সমর্থকেরা একটি সরকারি বাস-সহ মোট ৫টি বাস ভাঙচুর করে। মধ্য হাওড়ার বেলিলিয়াস রোডে জোর করে দোকানপাট বন্ধ করতে গেলে বিজেপি সমর্থকদের সঙ্গে তৃণমূল সমর্থকদের হাতাহাতি শুরু হয়। ইটের আঘাতে মাথা ফাটে বিজেপির রাজ্য সম্পাদক সঞ্জয় সিংহের। প্রতিবাদে বিজেপি কর্মীরা ফাঁসিতলার মোড় অবরোধ করলে পুলিশ দফায় দফায় লাঠি চালিয়ে অবরোধকারীদের হটিয়ে দেয়।
এ দিন সকাল থেকেই হাওড়া শহরে মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। কিন্তু তার মধ্যেই বঙ্গবাসী মোড় ও রামেশ্বর মালিয়া লেনের সংযোগস্থলে প্রথম বাস ভাঙচুর শুরু হয়। ইস্ট-ওয়েস্ট বাইপাস, বেলিলিয়াস রোড ও ডবসন রোডের কাছে আরও ৪টি বাসে ভাঙচুর এবং বাসচালকদের মারধর করা হয়। এর পরেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। উত্তর হাওড়ার নন্দীবাগানে জোর করে দোকান বন্ধ করতে গেলে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপ চক্রবর্তীর দলবলের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় বন্ধ সমর্থকদের। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী ও র্যাফ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। একই জায়গায় পুলিশ বিজেপির মিছিল আটকালে সমর্থকেরা রাস্তায় শুয়ে পড়েন। তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।
বেলা ১২টা নাগাদ জেলা বিজেপির সদর সভাপতি সুরজিৎ সাহার নেতৃত্বে এক দল সমর্থক দোকান বন্ধ করতে গেলে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে ফের মারামারি শুরু হয়। এর জেরে আহত সুরজিৎবাবুকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এ বার বিক্ষোভে সামিল হন সঞ্জয়বাবু। সে সময়ে ইটের আঘাতে তাঁর মাথা ফাটে।
হাওড়া শহরে এই ধরনের বিক্ষিপ্ত গোলমাল ছাড়া জনজীবন ছিল মোটের উপরে স্বাভাবিক। তবে রাস্তায় যানবাহন ছিল কম। এ দিন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাস্তায়
নেমে তৃণমূল জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, ‘‘এই বন্ধ মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছেন।’’ বন্ধ ব্যর্থ করার জন্য এদিন দুপুরে নেতাজি সুভাষ রোডে টোটোচালক এবং যাত্রীদের মিষ্টি খাইয়ে হাতে গোলাপ তুলে দেন হাওড়া পুরসভার মেয়র পারিষদ শ্যামল মিত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy