Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Businessman

অ্যাকাউন্টে হঠাৎ ৬০ লক্ষ টাকা, ফেরালেন ব্যবসায়ী

কিন্তু শুভাশিস ঘোষাল নামে ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগ, তাঁর অ্যাকাউন্টে ৬০ লক্ষ টাকা জমা পড়ার পর থেকেই তা চেয়ে হুমকি দিতে থাকে একদল যুবক।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৬:০৩
Share: Save:

এক-দু’টাকা নয়, একেবারে ৬০ লক্ষ টাকা। মোবাইলে আসা এসএমএস বার বার দেখেছিলেন ব্যবসায়ী যুবকটি। বিপুল অঙ্কের টাকা তাঁকে পাঠানোর কথা ছিল না কারও। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে শেষ পর্যন্ত যে অ্যাকাউন্ট থেকে ওই টাকা ঢুকেছিল, সেখানেই তা ফেরানো হল।

কিন্তু শুভাশিস ঘোষাল নামে ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগ, তাঁর অ্যাকাউন্টে ৬০ লক্ষ টাকা জমা পড়ার পর থেকেই তা চেয়ে হুমকি দিতে থাকে একদল যুবক। টাকা ফিরিয়েও নিষ্কৃতি পাননি তিনি। দুষ্কৃতীদের তাড়া খেয়ে কার্যত পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। তাঁর দোকানে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। পুলিশের সাহায্যে দোকানের চাবি ফেরত পেলেও আতঙ্ক যাচ্ছে না শুভাশিসের।

ওই ব্যবসায়ী শাসন এলাকার বাসিন্দা। বিমানবন্দর থানা এলাকায় রান্নাঘরের চিমনি এবং জল শোধন যন্ত্রের দোকান রয়েছে তাঁর। দোকানে মাঝেমধ্যেই আয়ুর্বেদিক ওষুধ বিক্রি করতে আসতেন এক যুবক। শুভাশিস জানান, ওই যুবকই তাঁকে কমিশনের ভিত্তিতে জিনিস বিক্রির প্রস্তাব দেয়। শুভাশিস বলেন, “ছেলেটি আমাকে বলেছিল, ক্যাটালগ দেখে যন্ত্র বিক্রি করবে। আমার অ্যাকাউন্টেই টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে।”

শুভাশিস জানান, ওই যুবক গত এক মাসে ক্রেতা জোগাড় করতে পারেনি। এরই মধ্যে গত বুধবার শুভাশিসের অ্যাকাউন্টে ৬০ লক্ষ টাকা ঢোকে। পরের দিন ব্যাঙ্কে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, একটি সংস্থার অ্যাকাউন্ট থেকে ওই টাকা এসেছে। তিনি টাকা ফেরত দেওয়ার কথা লিখিত ভাবে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে জানান। শুক্রবার সংশ্লিষ্ট সংস্থার অ্যাকাউন্টে টাকা ফেরত পাঠিয়ে দেয় ব্যাঙ্ক।

ওই ব্যবসায়ী জানান, গত বুধবার তাঁর অ্যাকাউন্টে টাকা আসার পর থেকেই কয়েক জন তা চেয়ে তাঁকে ফোন করতে শুরু করে। পরের দিন তিনি টাকা ফেরতের আবেদন করেছেন জানার পরে শুরু হয় হুমকি। বৃহস্পতিবার শুভাশিসের দোকানের এক কর্মীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। দোকান বন্ধ করে দিয়ে চাবি নিয়ে চলে যায় তারা। তার পরেই এলাকা ছাড়েন শুভাশিস।

শনি এবং রবিবার শুভাশিসের খোঁজে তাঁর শাসনের বাড়িতে হানা দেয় দুষ্কৃতীদের একটি দল। বাধ্য হয়ে রবিবার বিমানবন্দর থানায় যান শুভাশিস। সেই সময়ে পুলিশের নাম করে তাঁর মোবাইলে ফোন করে দুষ্কৃতীরা। তখন পুলিশ অফিসারেরা দুষ্কৃতীদের সঙ্গে কথা বলেন। চাবি ফেরানোর জন্য তাদের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। তার পরেই চাবি ফেরত দেয় তারা।

তবুও ভয় কাটছে না শুভাশিসের। তিনি বলেন, “ওরা আমাকে বার বার বলছে, ২০ লক্ষ টাকা রেখে বাকিটা দিয়ে দিতে। আমি এই ভাবে টাকা রোজগার করতে চাই না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

money Businessman
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE