মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রাক্তন সেনা আধিকারিকদের অবস্থান কর্মসূচির অনুমতি দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বুধবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ শর্তসাপেক্ষে ধর্নার অনুমতি দেন।
আদালত জানিয়ে দিয়েছে, মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ওই কর্মসূচিতে বিজেপির কোনও পদাধিকারী উপস্থিত থাকতে পারবেন না। আগামী শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ধর্না চলতে পারে। ওই কর্মসূচিতে ২২৫ জনের বেশি অংশ নিতে পারবেন না। একটি লাউডস্পিকার ব্যবহার করা যাবে।
প্রাক্তন ওই সেনা আধিকারিকদের অভিযোগ, গত ১ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা প্রকাশ্যে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছিলেন, “২০০ লোক ছিল, আমাকে দেখে পালিয়ে গিয়েছে!” ওই মন্তব্যের বিরুদ্ধে তাঁরা ধর্না দিতে চেয়ে আবেদন করেন। কিন্তু পুলিশ তাঁদের সেই অনুমতি দেয়নি। এর পরেই প্রাক্তন সেনাকর্মী এন মোহন রাও কর্মসূচি করতে চেয়ে হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেন। তাঁর বক্তব্য, রাজ্যের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক ব্যক্তির কাছ থেকে ওই ধরনের মন্তব্য অপমানজনক। যা ভারতীয় সেনাবাহিনীর মর্যাদা, সম্মানে আঘাত করে।
বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর অত্যাচার এবং বাংলা ভাষার অপমানের প্রতিবাদে গান্ধীমূর্তির সামনে নানা কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছিল তৃণমূল। সেইমতো মঞ্চও বেঁধেছিল বাংলার শাসকদল। কিন্তু সেই প্রতিবাদমঞ্চ খুলে দেন জওয়ানেরা। সেনা দাবি করে, দু’দিনের অনুমতি থাকলেও ময়দান এলাকায় মঞ্চটি প্রায় এক মাস ধরে বাঁধা ছিল। অস্থায়ী ওই কাঠামো সরিয়ে দেওয়ার জন্য আয়োজকদের বেশ কয়েক বার জানানো হয়। কিন্তু তার পরও তা সরানো হয়নি বলে জানায় সেনা। তারা জানায়, কলকাতা পুলিশকে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছিল। তার পরেই সেনা মঞ্চ সরানোর কাজ শুরু হয়। যদিও মমতার দাবি ছিল, মঞ্চ সরানোর বিষয়ে কারও সঙ্গে কথা বলা হয়নি।