সংগ্রহশালায় উৎসাহীদের ভিড়। বুধবার। — নিজস্ব চিত্র।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, গত মার্চে ক্যাম্পাসের দোতলার করিডরে আগুন লাগে। সে সময়ে উপাচার্য ছিলেন সুগতবাবুই। সেখানে থাকা দুষ্প্রাপ্য প্রাণীর অধিকাংশ নমুনা পুড়ে যায়। সেগুলির অধিকাংশই উদ্ধার করা যায়নি। গত নভেম্বরে পুড়ে যাওয়া ওই সংগ্রহশালাটিকে সারিয়ে উদ্বোধন করার সিদ্ধান্ত নেন কর্তৃপক্ষ। যদিও এখনও ফায়ার অ্যালার্ম বা জল ছেটানোর জন্য স্প্রিঙ্কলার লাগানো সম্ভব হয়নি। সেই গাফিলতির দিকেই আঙুল তুলেছেন সুগতবাবু।
প্রাণীবিদ্যা বিভাগের শিক্ষিকা এনা রায় বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, ‘‘ন’মাস ধরে সংগ্রহশালা বন্ধ রেখে এ ভাবে দশ-পনেরো দিনের মধ্যে তাড়াহুড়ো করে সংগ্রহশালা উদ্বোধন করাটা ঠিক হয়নি। জাতীয় স্তরের কোনও কমিটি গঠন করে এর তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।’’ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশের অভিযোগ, যেহেতু এ মাসেই নাক-এর প্রতিনিধি দল পরিদর্শনে আসছে, তাই তড়িঘড়ি করে সংগ্রহশালাটি উদ্বোধন করা হল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আশুতোষ ঘোষ বলেন, ‘‘সুগতবাবুর সঙ্গে আমি একমত। অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থার উন্নয়নের কাজ চলছে। তবে এনাদেবী যেটা বলেছেন, সেটা ঠিক নয়। ন’মাস ধরেই সংগ্রহশালার রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছিল।’’ মিউজিয়াম কমিটির চেয়ারম্যান গৌতম সাহা বলেন, ‘‘আমরা মাত্র দশ-পনেরো দিনে সংস্কারের কাজ করেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy