আলিপুরের পথে চলছে বড়বাজার।
বছর দুই আগে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়েছিলেন আলিপুরের বাসিন্দাদের সংগঠন। সেই বাসিন্দাদের অনেকেই শহরের নামজাদা ব্যবসায়ী। এ বার একই পথে নিজেদের নিরাপত্তার কথা ভেবে বড়বাজারে সিসিটিভি-র নজরদারি বসাল ওই এলাকার ব্যবসায়ী সংগঠন।
শনিবার বিকেলে সেই নজরদারি ক্যামেরাগুলির উদ্বোধন করেন পুলিশ কমিশনার সুরজিৎ করপুরকায়স্থ। প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি বড়বাজারের মতো বাণিজ্যিক এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশি নজরদারির উপরে ভরসা রাখতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা? আলিপুরের ক্ষেত্রে অপহরণকারী ও তোলাবাজদের হাত থেকে বাঁচতেই সিসিটিভি বসানো হয়েছিল। যা থানা থেকেই মনিটর করা হত।
কিন্তু সেখানেও প্রশ্ন, সিসিটিভি থাকলেই ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা কি নেয় পুলিশ? পুলিশের একাংশই বলছে, পুরভোটের প্রচার চলাকালীন আলিপুরের গোপালনগরে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের উপরে হামলার ফুটেজ ধরা পড়েছিল সিসিটিভিতে। তাতে প্রতাপ সাহার উপস্থিতির প্রমাণও ছিল। অথচ প্রতাপ সাহার বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেও গ্রেফতার করা হয়নি। তাই সিসিটিভি লাগিয়েও নিরাপত্তা কতটা নিশ্ছিদ্র করা যাবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে ব্যবসায়ীদের মধ্যেই।
তবে পুলিশের উপরে ভরসা হারিয়েই সিসিটিভির ব্যবস্থা করা হয়েছে, এটা মানতে নারাজ লালবাজারের কর্তারা। তাঁরা বলছেন, নিরাপত্তা দেওয়া পুলিশের কাজ। কিন্তু নিজেদের নিরাপদ রাখতে পুলিশের সঙ্গে সহায়তা করা নাগরিকদেরও কর্তব্য। ব্যবসায়িক এলাকায় বণিক সংগঠন সিসিটিভি বসাচ্ছে, এটাও নতুন কিছু নয়।