Advertisement
E-Paper

দ্রুত কাজ সারতে দরপত্র-বিধি বদল

আধিকারিকদের একাংশের ব্যাখ্যা, এ বার থেকে কোনও কাজ করা জরুরি বলে মনে হলে সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ার বা দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক আগে সেই পরিকল্পনা করে তার পরে সরাসরি দরপত্র আহ্বান করবেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:৫৭

টেন্ডার বা দরপত্র প্রক্রিয়ায় যত সময় ব্যয় হয়, সেটা কমিয়ে আনতে চাইছে পূর্ত দফতর। এ বার থেকে নতুন পদ্ধতিতে কাজ করার পরিকল্পনা করতে বলা হচ্ছে দফতরের আধিকারিকদের। দফতরের অনেকের ধারণা, এতে এক দিকে যেমন দরপত্র প্রক্রিয়ার সময় কমবে, তেমনই টাকার জন্য ‘নির্ভরশীলতা’ অনেকটাই কাটানো সম্ভব হবে। আধিকারিকদের অনেকেরই ধারণা, দরপত্রের টানাপ়ড়েন আসল কাজের কতটা ক্ষতি করে, তা প্রমাণ করে দিয়েছে মাঝেরহাট সেতুর বিপর্যয়।

আধিকারিকদের একাংশের ব্যাখ্যা, এ বার থেকে কোনও কাজ করা জরুরি বলে মনে হলে সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ার বা দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক আগে সেই পরিকল্পনা করে তার পরে সরাসরি দরপত্র আহ্বান করবেন। অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট ফাইল দফতরের কাছে পাঠাবেন তার পরে। বাকি প্রক্রিয়া নিয়মমাফিক চলবে, পাশাপাশি চলবে কাজের প্রস্তুতিও। এখনকার নিয়ম অনুযায়ী দরপত্র ডাকা হবে কি না, দফতরের কাছ থেকে আগে তার অনুমোদন নিতে হয়। তার পরে দরপত্র ডাকতে এবং পরবর্তী প্রক্রিয়া চালাতে অনেকটা সময় ব্যয় হত। মাঝেরহাট সেতুর মেরামতির জন্য একাধিক বার দরপত্র আহ্বান করতে হয়েছিল। তার পরে তার দর নিয়ে অর্থ দফতরের সঙ্গে দীর্ঘ টানাপড়েন চলে। এই সব নিয়ে অনেক সময় নষ্ট হলেও ‘ওয়ার্ক অর্ডার’ দেওয়া যায়নি। এই দীর্ঘসূত্রতা কাটানোর উদ্দেশ্যেই এমন বন্দোবস্ত করা হচ্ছে বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর। অবশ্য অতি জরুরি পরিস্থিতিতে আগে কাজ শেষ করে পরে ‘এস্টিমেট’ জমা দেওয়ার রাস্তাও রাখা হচ্ছে বিকল্প হিসেবে।

গত বৃহস্পতিবার পূর্ত, সেচের মতো দফতর এবং কেএমডিএ-র অধীনে একটি করে সেতু নজরদারি কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, তার পরেই গোটা রাজ্যে পূর্ত দফতরের তিনটি জ়োনে পৃথক ভাবে একটি করে কমিটি গড়ার কাজ শুরু হয়েছে। পূর্ত দফতরের অধীনে থাকা প্রায় ১৪০০ সেতুর নজরদারির দায়িত্ব পাবে জ়োন-ভিত্তিক কমিটিগুলি। এ-সবের পরেও প্রশ্ন উঠছে, ইঞ্জিনিয়ারেরা রীতিনিয়ম মেনে কাজ করলেও সেতুর নজরদারি বা তার স্বাস্থ্যপরীক্ষা বিজ্ঞানসম্মত ভাবে করা যাবে কি? কারণ, সংশ্লিষ্ট পরিকাঠামোর কারিগরি খুঁটিনাটি দিকগুলি খালি চোখে খতিয়ে দেখা সম্ভব নয়। তার জন্য প্রযুক্তির সহযোগিতা দরকার। তবে এই পরিস্থিতিতে ইঞ্জিনিয়ারদের অভিজ্ঞতার উপরেই আপাতত ভরসা রাখতে হবে বলে মনে করছেন পূর্ত দফতরের অনেক কর্তা।

Tender Rule Change Work PWD
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy