Advertisement
১১ মে ২০২৪
College

College: দু’বার একই ফি নেওয়ার অভিযোগ, তুলকালাম কলেজে

এ দিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ বাণিজ্য শাখার ষষ্ঠ সিমেস্টারের পরীক্ষার ফি জমা দিতে কলেজের অফিসের সামনে লাইন দেন ১৫০ জন পড়ুয়া।

ভাঙচুর: ফি নিয়ে গোলমালের জেরে নোটিস বোর্ড ভেঙে দিয়েছেন বিক্ষোভকারী ছাত্রীরা। মঙ্গলবার, হাওড়ার বিজয়কৃষ্ণ গার্লস কলেজে।

ভাঙচুর: ফি নিয়ে গোলমালের জেরে নোটিস বোর্ড ভেঙে দিয়েছেন বিক্ষোভকারী ছাত্রীরা। মঙ্গলবার, হাওড়ার বিজয়কৃষ্ণ গার্লস কলেজে। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০২২ ০৭:৪৪
Share: Save:

বাণিজ্য শাখার ষষ্ঠ সিমেস্টারের পরীক্ষার জন্য অতিরিক্ত ফি নেওয়ার অভিযোগে ছাত্রী বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার ধুন্ধুমার বাধল হাওড়ার বিজয়কৃষ্ণ গার্লস কলেজে। বিক্ষোভকারী ছাত্রীদের অভিযোগ, অতিরিক্ত ফি নেওয়ার প্রতিবাদ করতে গেলে কলেজের পুরুষ কর্মীদের হাতে তাঁরা নিগৃহীত হন। তাঁদের মারধর করা হয়। ভেঙে দেওয়া হয় মোবাইলও। এর পরে উত্তেজিত বিক্ষোভকারীরা কলেজের নোটিস বোর্ড ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশবাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

পুলিশ ও কলেজ সূত্রের খবর, এ দিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ বাণিজ্য শাখার ষষ্ঠ সিমেস্টারের পরীক্ষার ফি জমা দিতে কলেজের অফিসের সামনে লাইন দেন ১৫০ জন পড়ুয়া। অভিযোগ, প্রায় আড়াই ঘণ্টা লাইনে দাঁড়ানোর পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানান, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশ মতো ৬২৫ টাকা পরীক্ষার ফি-র পাশাপাশি ৯০০ টাকা আইটি ফি-ও দিতে হবে। তা শুনেই ছাত্রীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁদের অভিযোগ, ষষ্ঠ সিমেস্টারে ভর্তির সময়েই কলেজ ৯০০ টাকা আইটি ফি নিয়েছে। তাঁরা প্রশ্ন তোলেন, ফের কেন একই ফি চাওয়া হচ্ছে?

পড়ুয়াদের অভিযোগ, তাঁরা যখন কলেজের অফিসে ঢুকে এ নিয়ে জানতে চান, তখন কলেজের এক করণিক পদের কর্মী তাঁদের আক্রমণ করেন। তাঁদের ধাক্কা মেরে, মোবাইল কেড়ে আছাড় মারেন তিনি। অভিযোগ, প্রতিবাদ করলে কয়েক জন পুরুষ কর্মী ছাত্রীদের উপরে চড়াও হন। এর পরে উত্তেজিত পড়ুয়ারা গেটের সামনে নোটিস বোর্ডের কাচ ভেঙে দেন। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশবাহিনী এসে বিক্ষোভকারী ছাত্রীদের কলেজের বাইরে বার করে দেয়। এ দিন বিকেলে কলেজের গেটের বাইরে বিক্ষোভরত রিয়া সিংহ নামে এক পড়ুয়া বলেন, ‘‘অতিরিক্ত ফি নেওয়ার প্রতিবাদ করায় কলেজের পুরুষ কর্মীরা আমাদের গায়ে হাত তুলেছেন। ধাক্কাধাক্কি করেছেন। দু’জনের হাতে চোট লেগেছে। কয়েক জনের মোবাইল ভেঙে গিয়েছে। এত কিছুর পরেও অধ্যক্ষা আমাদের বলেছেন, ওই ফি দিতে হবে। না হলে ফাইনাল পরীক্ষায় বসতে দেওয়াহবে না।’’

এ নিয়ে কলেজের অধ্যক্ষা রুমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘যে ফি নেওয়া হচ্ছে, তা অতিরিক্ত কিছু নয়। সব কিছু কলেজের ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে। কলেজে যা হয়েছে, তা প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আলোচনা করে মিটিয়ে নেব। এ নিয়ে কলেজের পরিচালন কমিটি-সহ সকলের সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেব।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

অন্য বিষয়গুলি:

College Chaos
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE