Advertisement
E-Paper

ফেসবুকে বন্ধুর ‘প্রতারণা’, লক্ষাধিক খোয়ালেন মা-মেয়ে

ফেসবুকে বন্ধুর ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে গণধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছিল দুই কিশোরী। এ বার সেই ফেসবুকেই বন্ধুত্বের মাসুল দিতে হল লক্ষাধিক টাকা খুইয়ে। অভিযোগ, বিদেশি নাগরিক পরিচয়ে দিনের পর দিন ফেসবুকে কথা বলে বিশ্বাস অর্জনের পরে উপহার পাঠানোর নামে এক মহিলা ও তাঁর মেয়ের কাছ থেকে ওই টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই জালিয়াতির ঘটনার পিছনে বড় কোনও চক্র রয়েছে বলে জানিয়েছে সাইবার ক্রাইম থানা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৫ ০৫:১৪

ফেসবুকে বন্ধুর ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে গণধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছিল দুই কিশোরী। এ বার সেই ফেসবুকেই বন্ধুত্বের মাসুল দিতে হল লক্ষাধিক টাকা খুইয়ে।

অভিযোগ, বিদেশি নাগরিক পরিচয়ে দিনের পর দিন ফেসবুকে কথা বলে বিশ্বাস অর্জনের পরে উপহার পাঠানোর নামে এক মহিলা ও তাঁর মেয়ের কাছ থেকে ওই টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই জালিয়াতির ঘটনার পিছনে বড় কোনও চক্র রয়েছে বলে জানিয়েছে সাইবার ক্রাইম থানা। তবে অভিযুক্তেরা এখনও অধরাই।

তদন্তকারী অফিসারেরা জানাচ্ছেন, সম্প্রতি লালবাজারের সাইবার ক্রাইম থানায় বাঁশদ্রোণী থানা এলাকার বাসিন্দা বনানী চক্রবর্তী নামে এক গৃহবধূ ওই প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি জানান, গত ৭ জানুয়ারি তাঁর এবং একই সঙ্গে তাঁর মেয়ের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বন্ধু হওয়ার অনুরোধ জানান জন ল্যারি নামে এক ব্যক্তি। জন নিজেকে ক্যালিফোর্নিয়া এয়ারলাইন্সের কার্গো বিভাগের ডিরেক্টর জেনারেল হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন। পরিচয় এবং ফেসবুকে জনের দেওয়া বিভিন্ন ছবিতে সন্দেহ না হওয়ায় বনানীদেবী এবং তাঁর মেয়ে জনকে বন্ধু হিসাবে স্বীকার করেন এবং কথা বলা শুরু করেন। কিছু দিনের মধ্যেই তাঁদের মধ্যে ভাল বন্ধুত্ব হয়ে যায় বলে জানিয়েছেন অভিযোগকারিণী।

বনানীদেবী আরও জানান, ক’দিন পরেই তাঁর মেয়েকে কিছু উপহার পাঠানোর কথা জানান জন। এর পরে এক দিন তিনি জানান, উপহারগুলি দিল্লি বিমানবন্দরের কার্গো বিভাগে জমা রয়েছে এবং সেগুলি হাতে পেতে ওই বিভাগে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার টাকা জমা দিতে হবে। এ জন্য একটি অ্যাকাউন্ট নম্বরও দেন জন। বনানীদেবী জানান, ওই অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করার পরে জনের নাম করে রাজীব সিংহ নামে আর এক ব্যক্তি ফোন করে তাঁকে জানান ওই উপহারের প্যাকেটে কয়েক হাজার পাউন্ড থাকায় সেটি পোস্টের মাধ্যমে পাঠানো যাবে না। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মাধ্যমে পাঠাতে হবে এবং তার জন্য ফের কিছু টাকা একটি অ্যকাউন্টে জমা করতে হবে।

অভিযোগকারিণীর দাবি, উপহার পৌঁছনোর জন্য জন এবং রাজীব তাঁদের কাছ থেকে বার বার টাকা নেন। এমনকী রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ট্রান্সফার কোড পেতে জমা হিসেবেও বিভিন্ন সময়ে টাকা আদায় করেন তাঁরা। অভিযোগ, এ ভাবে প্রায় লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেন জন এবং তাঁর সঙ্গী রাজীব। চার বার এ ভাবেই টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু এর পরে ফের টাকা চাওয়া হলে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দারস্থ হন বনানীদেবী। সেখানে তিনি জানতে পারেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্কে বিদেশি টাকার বদলে এ ভাবে কোনও টাকা নেওয়া হয় না। কিন্তু ততদিনে তিনি চার ধাপে লক্ষাধিক টাকা বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে জমা দিয়ে ফেলেছেন বলে জানান বনানীদেবী।

এর পরেই তিনি অভিযোগ দায়ের করেন লালবাজারে সাইবার ক্রাইম থানায়। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বুধবার লালবাজার সূত্রে জানানো হয়েছে, বিদেশি নাগরিক পরিচয়ে সাধারণত এ দেশেরই কোনও প্রতারণা চক্র এই ব্যবসা ফাঁদে। সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে এ দেশ থেকেই বিদেশি নম্বর জোগাড় করে তারা। এর পরে ফোন, ফেসবুক, ই-মেল এবং হোয়াটস অ্যাপে বন্ধুত্ব করে বিশ্বাস অর্জনের পরে নানা উপায়ে টাকা হাতিয়ে নেয় তারা।

Bansdroni kolkata police Cyber Crime Cell lalbazar Banani Police FB friend
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy