Advertisement
E-Paper

বিচারাধীন বন্দির মৃত্যুর তদন্তভার সিআইডি-র হাতে

কলকাতা পুলিশের এক্তিয়ারভুক্ত এলাকায় বিচারাধীন বন্দি এক যুবকের রহস্যমৃত্যুর তদন্তভার বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের নির্দেশে চলে গেল সিআইডি-র হাতে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০০:১১

কলকাতা পুলিশের এক্তিয়ারভুক্ত এলাকায় বিচারাধীন বন্দি এক যুবকের রহস্যমৃত্যুর তদন্তভার বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের নির্দেশে চলে গেল সিআইডি-র হাতে। এ ছাড়া বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী মৃতদেহের ময়না তদন্ত রিপোর্ট নতুন ভাবে খতিয়ে দেখতে তিন চিকিৎসক-শিক্ষকের কমিটি গঠন করেছেন।

ওই ঘটনায় খুনের মামলা রুজু হয়েছিল ভবানীপুর থানায়। সচরাচর সিআইডি কলকাতা বাদে রাজ্যের অন্যত্র হওয়া ফৌজদারি মামলার তদন্ত করে। তবে এ ক্ষেত্রে অভিযুক্ত কলকাতা পুলিশেরই কিছু অফিসার ও কর্মী।

১৮ নভেম্বর রাতে একবালপুরের বাসিন্দা ফারদিন খান (২০) নামে ওই বন্দি পিজি-তে মারা যান। ২১ নভেম্বর ফারদিনের মা ও এক বন্ধুর দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা শুরু হয়। কলকাতা পুলিশ তদন্ত করছিল। কিন্তু ভরসা করতে না পেরে হাইকোর্টে সিবিআই তদন্তের দাবিতে মামলা করেন ফারদিনের মা ইমতিয়াজ বেগম। ১৯ ডিসেম্বর প্রথম শুনানি হয় বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের এজলাসে। ওই দিন ময়না তদন্তের সব নথি মামলার আবেদনকারীর হাতে তুলে দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি দত্ত।

বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে মামলাটি ওঠে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর এজলাসে। বিচারপতি বাগচী জানান, ফারদিনের মৃত্যু কী ভাবে হল, সিআইডি তদন্ত করবে। পাশাপাশি, তিনি তিন চিকিৎসক-শিক্ষককে নিয়ে কমিটি গড়েছেন। এক জন দিল্লির এইমস্-এর, বাকিরা কলকাতার দু’টি মেডিক্যাল কলেজের। তাঁরা ময়না তদন্ত রিপোর্ট ফের পর্যালোচনা করবেন।

ছিনতাইয়ের অভিযোগে ধৃত ফারদিনকে আদালতের নির্দেশে গত ১৬ নভেম্বর সাত দিনের জন্য হেফাজতে পাঠান লালবাজারের ছিনতাই দমন শাখার গোয়েন্দারা। সেই রাতে ফারদিন লালবাজারেই ছিলেন। পর দিন গোয়েন্দারা তাঁকে আদালতে হাজির করিয়ে জানান, তাঁকে আর পুলিশি হেফাজতে রাখার দরকার নেই। বিচারক ফারদিনকে জেলে পাঠান। কিন্তু ১৭ তারিখ প্রেসিডেন্সি জেলে ঢোকার সময়ে ফারদিনের শরীর খারাপ থাকায় প্রথমে জেল হাসপাতাল ও পরে এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।

বৃহস্পতিবার আদালতে ফারদিনের পরিবারের আইনজীবী সন্দীপন গঙ্গোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, ওই তরুণকে লালবাজারে বেধড়ক পেটানো হয়। মৃতের দেহের আঘাতগুলি সম্পর্কে চিকিৎসক কোনও মতামত দেননি বলেও জানান সন্দীপনবাবু। তবে, রাজ্যের অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল অভ্রতোষ মজুমদার দাবি করেন, ফারদিন মাদকাসক্ত ছিলেন, তাঁর মৃত্যুর জন্য মাদকই দায়ী।

CID Investigation Undertrial prisoner Death
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy