Advertisement
E-Paper

দুপুরের ব্যস্ত সময়ে গতি হারাল শহর

দুপুরে স্কুল ছুটির সময়ে এমনিতেই পার্ক সার্কাস থেকে গড়িয়াহাট পর্যন্ত যানজট থাকে। সোমবার তার সঙ্গে জুড়ে গেল উৎসবের ভিড়ও। পুলিশ সূত্রের খবর, রমজানের নমাজ এবং ইদের কেনাকাটার জন্য পার্ক সার্কাস ও গড়িয়াহাটে প্রচুর মানুষ জড়ো হয়েছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৬ ০০:৩৩
রুদ্ধ পথ। সোমবার, গড়িয়াহাটে। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।

রুদ্ধ পথ। সোমবার, গড়িয়াহাটে। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।

দুপুরে স্কুল ছুটির সময়ে এমনিতেই পার্ক সার্কাস থেকে গড়িয়াহাট পর্যন্ত যানজট থাকে। সোমবার তার সঙ্গে জুড়ে গেল উৎসবের ভিড়ও। পুলিশ সূত্রের খবর, রমজানের নমাজ এবং ইদের কেনাকাটার জন্য পার্ক সার্কাস ও গড়িয়াহাটে প্রচুর মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। তার ফলেই এলাকায় গাড়ির গতি থমকে যায়। সামান্য পথ যেতেও রীতিমতো কষ্ট করতে হয়েছে মানুষজনকে।

পুলিশ সূত্রের খবর, সকাল সাড়ে দশটার পর থেকেই পার্ক সার্কাস এবং সৈয়দ আমির আলি অ্যাভিনিউয়ের একাধিক স্কুল ছুটি হতে শুরু করেছিল। ফলে ওই এলাকায় যান চলাচলের উপরে চাপ বাড়ছিলই। বেলা সাড়ে বারোটার পর থেকে কার্যত থমকে যায় গোটা এলাকা। দুপুর ২টোর পরে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতে শুরু করে। কিন্তু বিকেলের পর থেকে গড়িয়াহাট চত্বর চলে যায় ফের যানজটের কবলে।

এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ সৈয়দ আমির আলি অ্যাভিনিউ দিয়ে বৌবাজারের দিকে যাচ্ছিলেন এক ব্যক্তি। ওই পথ যেতে তাঁর সময় লেগেছে প্রায় দেড় ঘণ্টা। একই ভাবে বিকেলে গড়িয়াহাটে শপিং করতে গিয়েছিলেন বরাহনগরের এক তরুণী। ফেরার পথে যানজটে রীতিমতো নাকানিচোবানি খেতে হয়েছে তাঁকে। পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, শুধু গড়িয়াহাট, পার্ক সার্কাস নয়, মেছুয়া-সহ মধ্য কলকাতার একাংশেও এ দিন দফায় দফায় যানজট হয়েছে। বিকেলের পর থেকে আবহাওয়া ভাল থাকায় ইদের কেনাকাটার ভিড় জমেছিল নিউ মার্কেট, ধর্মতলা এলাকাতেও। সেখানে রীতিমতো ঠেলাঠেলি ভিড়। বড়বাজারের ভিড়ে মহাত্মা গাঁধী রোড, স্ট্র্যান্ড রোডে থমকে গিয়েছিল গাড়ি চলাচল।

ট্রাফিক পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, এ দিনের যানজটের পিছনে আরও কারণ রয়েছে। রবিবার রাতেও ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হয়েছে শহরে। ফলে পিছল রাস্তায় গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ করতে হয়েছে। এর পাশাপাশি, পার্ক সার্কাস কানেক্টরে জল থাকায়
যানজট হয়েছে। তার প্রভাবও এসে পড়েছে পার্ক সার্কাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকায়।

পুলিশের দাবি, এমন পরিস্থিতি হতে পারে, তা আঁচ করে আগে থেকেই সার্জেন্ট এবং ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবলদের সতর্ক করা হয়েছিল। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাঁরা চেষ্টাও করেছিলেন। এক সার্জেন্টের বক্তব্য, অবরোধ হলে তার মোকাবিলা করা যায়। কিন্তু নমাজে আসা কিংবা কেনাকাটা করতে আসা ভিড়কে তো আর জোর করে সরানো যাবে না।

City traffic rush hour
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy