স্বাস্থ্য পরীক্ষার কারণে আগামী সাত দিন বিভিন্ন সময়ে শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণের তিন গুরুত্বপূর্ণ সেতুতে বন্ধ থাকবে যান চলাচল। ইতিমধ্যেই সোমবার রাত থেকে মেরামতির জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বাঘা যতীন রেল সেতুর একাংশ। আগামী রবিবার রাত পর্যন্ত ওই সেতুর গড়িয়ামুখী রাস্তা বন্ধ থাকবে। পুলিশ জানিয়েছে, দক্ষিণমুখী অর্থাৎ অজয়নগরের দিক থেকে গড়িয়ার দিকে যাওয়ার অংশটি বন্ধ থাকায় পাশের উত্তরমুখী র্যাম্প দিয়ে উভয় দিকে গাড়ি চলাচল করবে। এ ছাড়া, সেতুর নীচের রাস্তা দিয়েও দু’দিকে ছোট গাড়ি চলাচলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্র্যাফিক পুলিশের কর্তারা। এর পাশাপাশি, বৃহস্পতিবার থেকে ৭২ ঘণ্টা শিয়ালদহের বিদ্যাপতি সেতু এবং শুক্রবার থেকে রবিবার জীবনানন্দ সেতু বন্ধ থাকায় ঘুরপথে চলবে ছোট-বড় সমস্ত যানবাহন। ফলে চলতি সপ্তাহ জুড়ে আমজনতার ভোগান্তির আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
কেএমডিএ জানিয়েছে, বাঘা যতীন রেল সেতুর ১২ এবং ১৩ নম্বর স্তম্ভের একটি স্ল্যাব পাল্টানো হবে। একই সঙ্গে ওই সেতুর চার জায়গায় সমস্যা খুঁজে পেয়েছেন ইঞ্জিনিয়ারেরা। সেগুলিও আগামী এক সপ্তাহ ধরে সারাই হওয়ার কথা। শনিবার ওই সেতুর গড়িয়ার দিকে যাতায়াতকারী উড়ালপুলের ১২ ও ১৩ নম্বর স্তম্ভের মধ্যবর্তী অংশে চাঙড় ভেঙে পড়ে। ওই দিন থেকেই সেটি মেরামতির কাজ শুরু হয়। এক আধিকারিক জানান, এর পরেই শনি থেকে সোমবার পর্যন্ত উড়ালপুলের বিভিন্ন অংশ পরিদর্শন এবং পরীক্ষা করেন ইঞ্জিনিয়ারেরা। তখন দেখা যায়, বাঘা যতীন সেতুর একটি স্ল্যাব পাল্টাতে হবে। সেই মতো সোমবার ট্র্যাফিক পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন কেএমডিএ-র আধিকারিকেরা। পরে কেএমডিএ-র আবেদন মতো রাত থেকে উড়ালপুলের একটি অংশ দিয়ে গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
কেএমডিএ সূত্রের খবর, স্ল্যাব পাল্টানো এবং অন্য মেরামতি ছাড়াও গোটা উড়ালপুলের ভার বহন ক্ষমতার পরীক্ষা হবে। যা করলে দ্রুত এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। আপাতত ঠিক হয়েছে, সেতুর চার জায়গায় ২৮ টন ওজনের লরি তুলে ভার বহন ক্ষমতার পরীক্ষা হবে। সেই অনুযায়ী রিপোর্ট তৈরি করে বাঘা যতীন সেতুর সংস্কারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।