সকাল থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল অ্যাপ-ক্যাব চালকদের আন্দোলন। যার জেরে রাস্তায় ক্যাবের সংখ্যা ছিল কম। বিকেলে ময়দান ও রবীন্দ্র সদনের মাঝে রেকে আগুন লাগায় বন্ধ হয়ে যায় মেট্রো। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এই দুই জোড়া ফলায় ভোগান্তিতে পড়লেন অসংখ্য সাধারণ মানুষ। সেই দুর্ভোগ আরও বাড়ে সন্ধ্যার পরে, মা উড়ালপুলে একটি গাড়ি উল্টে যাওয়ায়। যার জেরে বন্ধ হয়ে যায় উড়ালপুলের বাইপাসমুখী রাস্তা। পুলিশ জানায়, ওই সময়ে দক্ষিণ ও মধ্য কলকাতার একটি বড় অংশে পরিস্থিতি এমনই দাঁড়ায় যে, যান চলাচল কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায়। যানজটের জেরে এক্সাইড থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত দাঁড়িয়ে পড়ে গাড়ির সারি। যার জের চলে রাত পর্যন্ত।
লালবাজার জানিয়েছে, এ দিন দক্ষিণ কলকাতার রুবি মোড়ের কাছে পরিবহণ ভবনে সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে অ্যাপ-ক্যাব চালক ও মালিকদের বৈঠক ছিল। সেই কারণে এ দিন রাস্তায় অ্যাপ-ক্যাবের সংখ্যা ছিল অন্য দিনের তুলনায় অনেক কম। যে ক’টি গাড়ি রাস্তায় ছিল, তা-ও দুপুরের পর থেকে উধাও হয়ে যায় চালকদের বাধায়। অভিযোগ, পরিবহণ ভবনে ওই বৈঠক নিষ্ফলা হতেই রুবি মোড়ের কাছে অ্যাপ-ক্যাব চালকেরা রাস্তায় নেমে অন্য অ্যাপ-ক্যাব দাঁড় করিয়ে যাত্রীদের জোর করে নামিয়ে দেন। ছাড়া পাননি রোগীরাও।
পুলিশ জানিয়েছে, অ্যাপ-ক্যাব না পেয়ে এ দিন ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে বহু শহরবাসীকে। সেই ভোগান্তির সঙ্গেই যুক্ত হয় বিকেলে মেট্রোয় বিভ্রাট। ময়দান ও রবীন্দ্র সদনের মাঝামাঝি জায়গার ওই ঘটনায় কবি সুভাষ থেকে দমদম পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যায় মেট্রো চলাচল। অফিস শেষে বাড়ি ফেরার সময়ে প্রবল সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা। মেট্রো কখন আবার চালু হবে, তার অপেক্ষায় না থেকে ভিড়ে ঠাসা স্টেশন থেকে রাস্তায় উঠে আসেন তাঁরা অনেকেই। সে সময়ে রাস্তায় থাকা অফিসফেরত যাত্রীদের সঙ্গে মেট্রোর যাত্রীরা যুক্ত হওয়ায় পরিস্থিতি কঠিন হয়ে পড়ে। আশুতোষ মুখার্জি রোড, জওহরলাল নেহরু রোড এবং চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের উপরে থাকা মেট্রো স্টেশনগুলির বাইরে তখন পা রাখা দায় মানুষের ভিড়ে। পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিতি সামাল দিতে তারা নিজেদের বাস চালিয়ে যাত্রীদের অনেককে গন্তব্যে পৌঁছে দেয়।