স্কুলে দুই সহপাঠীর মধ্যে ঝামেলা এবং মারপিট! সেই ঘটনায় ঝামেলা মেটানোর নামে ন’বছরের এক ছাত্রীকে ক্লাসের মধ্যেই ছাতা দিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠল শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। যার জেরে বাড়িতে ফিরে ওই নাবালিকা ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে বলে পরিবারের দাবি। ঘটনার পরের দিন মানিকতলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ছাত্রীটির পরিবার।
জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত এক সপ্তাহ আগে। ওই পড়ুয়া মানিকতলা থানা এলাকার একটি প্রাথমিক স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। মা পরিচারিকার কাজ করেন। বাবা দিনমজুর। আক্রান্ত ছাত্রীর মা জানান, ১৬ জুলাই হঠাৎ স্কুল থেকে বাড়িতে ফোন করেন এক শিক্ষিকা। দ্রুত স্কুলে গিয়ে মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন তিনি। ফোন পেয়েই ওই ছাত্রীর বাবা স্কুলে পৌঁছে যান। স্কুল কর্তৃপক্ষ মেয়েকে বাবার হাতে দিয়ে জানান, তাকে যেন সাত দিন স্কুলে পাঠানো না হয়। ওই নাবালিকার মায়ের কথায়, ‘‘বাড়িতে আসার পর থেকে মেয়ে চুপচাপ ছিল। কারও সঙ্গে বিশেষ কথা বলছিল না। ওর পা, কান ফোলা ছিল। এর পরে কী হয়েছে, জিজ্ঞাসা করতেই মেয়ে ঘটনার কথা জানায়।’’
এ দিকে, বাড়িতে আসার পরে বিকেল থেকে মেয়েটি আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। জ্বর-সহ নানা শারীরিক সমস্যা শুরু হয়। তাকে চিকিৎসকের কাছেও নিয়ে যেতে হয় বলে পরিবারের দাবি। এর পরদিন, অর্থাৎ ১৭ জুলাই ওই শিক্ষিকার নামে মানিকতলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন পরিবারের সদস্যেরা। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে থানা। এ দিকে, স্কুলের প্রধানশিক্ষিকা মৌমিতা শূর ওই পড়ুয়াকে মারের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তবে তাঁর দাবি, ‘‘ওই মেয়েটি ওর সহপাঠীকে ভারী কিছু দিয়ে মাথায় মারে। তাতে তার মাথায় কেটে যায়। সে কাঁদতে কাঁদতে এসে শিক্ষিকাকে তা জানিয়েছিল। তার পরেই ওকে একটু শাসন করে কান মুলে দেওয়া হয়। ছাতা দিয়ে মারা হয়নি।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)