সুনীতি জানা
কখনও পারিবারিক অশান্তি, কখনও বা সম্পত্তির লোভ— বাবা-মায়ের উপরে সন্তানের অত্যাচারের ঘটনা ঘটেই চলেছে। এ বার অভিযোগ উঠেছে বাগুইআটিতে।
পুলিশ সূত্রের খবর, সোমবার সকালে বাগুইআটির হাতিয়াড়া-জ্যাংড়া রোডে কালীতলা এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। সুনীতি জানা নামে এক প্রবীণ নাগরিকের মেয়ে
পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে জানিয়েছেন, মায়ের দেখভালের জন্য আয়া রাখা হয়েছিল। সে বাবদ খরচের ভাগাভাগি নিয়েই বেধে যায় অশান্তি। ছোট ভাই রাধাকান্ত জানার সঙ্গে এ দিন সকালে তাঁর এবং মায়ের বচসা হয়। অশান্তি চলাকালীন রাধাকান্ত তাঁকে মারধর করেন এবং হুমকি দেন বলেও অভিযোগ।
সুনীতিবাবুর নাতি সুরজিৎ জানিয়েছেন, ঠাকুরমাকে এ দিন সকালে খাবার খাইয়ে দিচ্ছিলেন তাঁর পিসি। আচমকাই দোতলা থেকে নেমে কাকা রাধাকান্ত ঠাকুরমার
ঘরে যান। অভিযোগ, সেখানে জুতো দিয়ে ঠাকুরমার খাবার ফেলে দেন তিনি। পিসিকেও মারধর করেন। তার পরে ঠাকুরমাকে ঘর থেকে বার করে দেন। পরিবারের বাকিরা বাধা দিতে গেলে তাঁদের উপরেও রাধাকান্ত চড়াও হন বলে অভিযোগ। শুরু হয় ধস্তাধস্তি।
সুরজিৎ বলেন, ‘‘৯৬ বছর বয়সী ঠাকুরমাকে থানায় নিয়ে যেতে হল ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে। ছোট কাকা রাধাকান্ত মাঝেমধ্যেই এমন অশান্তি করেন। আজ বাধ্য হয়ে থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে।’’
সকালে এই অশান্তির জেরে স্থানীয় বাসিন্দারা বাড়ির সামনে ভিড় করেন। খবর পেয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে গেলে তাঁদের কার্যত বাধার মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাচক্রে সেই সময়ে ঘটনাস্থলে ছিলেন স্থানীয় ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা বিধাননগর পুরসভার বরো চেয়ারম্যান
সুজিত মণ্ডল। সেখানে পরিবারের সদস্য-সহ স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ বিক্ষোভ দেখান।
কেন পারিবারিক বিষয় নিয়ে সংবাদমাধ্যম খবর করবে, তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কাউন্সিলর। পরে সুজিতবাবু সংবাদ সংগ্রহে বাধা দেওয়ার ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, ‘‘পারিবারিক একটি অশান্তির ঘটনা ঘটেছিল। সেই গোলমাল মেটাতে গিয়েছিলাম। যখন শুনলাম, পরিবার পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে, তখন আমি চলে আসি।’’
অভিযুক্ত রাধাকান্তের দেখা মেলেনি। তাঁর প্রতিক্রিয়াও পাওয়া যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy