জাল নথি দিয়ে গৃহঋণ নেওয়ার অভিযোগ উঠল পুরসভায়। গত ৬ মাসে খোঁজ পাওয়া তেমন ঋণ গ্রহীতার সংখ্যা শতাধিক। পুরসভা সূত্রের খবর, এ ভাবে ঋণ নেওয়া টাকার পরিমাণ কয়েক কোটি। আপাতত পরিস্থিতি সামাল দিতে অনলাইনে গৃহঋণ নেওয়ার ব্যবস্থা চালু করেছে পুর প্রশাসন। মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার বলেন, ‘‘পুরসভার কয়েকটি দফতরের কিছু কর্মী ওই গৃহঋণের জন্য আবেদন করেছিলেন। পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে একাধিক অফিসারের সই জাল করে তা করা হয়েছে। পুরো বিষয়টি যাচাই করার কাজ চলছে। যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
পুরসভা সূত্রের খবর, নিজেদের কর্মীদের কম সুদে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত গৃহঋণ দেয় পুর প্রশাসন। নিয়মানুযায়ী আবেদন করতে হয় কর্মীদের নিজ নিজ দফতরে। সেখান থেকে অনুমোদন মিললে তা পাঠানো হয় আইন দফতরে। তারা ভেটিং (খতিয়ে দেখে) করে পাঠায় সার্ভিস রেকর্ড বিভাগে। যে কর্মী ঋণের আবেদন করছেন, তাঁর জমি রয়েছে কি না, কার নামে তা রয়েছে, জমির পরিমাণ কত— এ সব সরেজমিন যাচাই করে রিপোর্ট বানানো হয়। তার পরেই ঋণের জন্য নাম অনুমোদন করা হয়।
অভিযোগ, সম্প্রতি যে গৃহঋণ নিয়ে অভিযোগ উঠেছে তা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকদের স্বাক্ষর জাল করে সরাসরি আইন দফতরে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে ‘ভেটিংয়ের কারসাজি’-তে ফাইল চলে গিয়েছে ঋণ দেওয়ার বিভাগে। মূলত জঞ্জাল অপসারণ, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং জল সরবরাহ-সহ একাধিক দফতরের বেশ কিছু কর্মীর নামে ওই ঋণ বরাদ্দ হয়েছে বলে খবর। তবে তা পুরসভার নজরে এসেছে জাল সইয়ের বিষয়টি ধরা পড়তেই। পুর কমিশনার খলিল আহমেদ জানান, বিষয়টি নজরে আসতেই অনলাইনে গৃহঋণের আবেদন করতে বলা হয়েছে। অফলাইন বন্ধ করা হয়েছে। তবে ওই ঘটনার পরে গৃহঋণ একেবারেই বন্ধ করা যায় কি না, তা নিয়েও ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে পুর প্রশাসন।
পুরসভার একাধিক অফিসারের মতে, এর পিছনে একটা চক্র রয়েছে। পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করছে পুরসভা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy