এত দিন অভিযোগ ছিল, ফুটপাথ দখলের, রাস্তা দখলের। এ বার অভিযোগ, গোটা পার্ক দখলের। শুধু দখলই নয়। সেখানে চলছে ব্যবসাও।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে শনিবার দুপুরে মানিকতলা ক্যানাল ওয়েস্ট রোডের পুরসভার পার্কটিতে হাজির হয়ে দেখা গেল, ভিতরে কোনও বসার জায়গা নেই। খেলাধুলোর সরঞ্জাম নেই। সদর দরজা পুরো খোলা। সেখানে লোহার ছাঁট বাছাইয়ে ব্যস্ত কয়েক জন শ্রমিক। কাজের সুবিধায় পার্কের ভিতরে ঢুকিয়ে নেওয়া হয়েছে লোহা ভর্তি ভ্যানরিকশা। তাঁদেরই এক জনকে প্রশ্ন করতে তিনি বলেন, ‘‘পার্ক তো আগে ছিল! এখন লোহার ব্যবসা হয়!’’ পার্কের সদরের উপরে নীল-সাদা হরফে নামটা লেখা না থাকলে বোঝার উপায় ছিল না যে ওটা পার্ক!
মানিকতলা মেন রোড থেকে আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রোড বরাবর খালপাড় জুড়ে পরপর তৈরি হয়েছে পার্কগুলো। মানিকতলা থানা সংলগ্ন একটি স্কুলের বিপরীতে রয়েছে একটি পার্ক। নাম লোকনাথ উদ্যান। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রায় আট বছর আগে পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত এই পার্ক তৈরি হয়েছিল। সেখানে এখন লোহা ছাঁটের মুক্ত কারখানা। বাসিন্দাদের মতে, সৌন্দর্যায়নের জন্য সে সময়ে খালপাড়ে একের পর এক পার্ক তৈরি হলেও এখন সেগুলির বেহাল দশা। কোনওটিতে দখল করে ব্যবসা চলছে, কোনওটি আবার অসামাজিক কাজের আখড়া হয়ে গিয়েছে। অথচ যে জন্য এই পার্ক, তার চিহ্ন নেই। বয়স্করা হাঁটতে পারেন না। ছোটরা খেলতে পারে না। উপরন্তু এলাকাবাসীর মাথাব্যথার অন্যতম কারণ এগুলো। স্বপন হাজরা নামে এক স্থানীয় বাসিন্দার অভিযোগ, ‘‘নামেই লোহার ফেন্সিং দেওয়া। এ ছাড়া পার্ক বোঝার উপায় নেই। লোকনাথ উদ্যান তো এখন লোহার কারখানা হয়ে গিয়েছে! কাউন্সিলর এবং মানিকতলা থানায় অভিযোগ করেও লাভ হয়নি।’’