— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বছর পাঁচেক আগে প্রত্যেক প্ল্যাটফর্মের একেবারে সামনের দিকে বড় আকারের
উত্তল আয়না বসানোর ব্যবস্থা করেছিলেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। মেট্রো স্টেশনে যাত্রীদের ওঠানামা পর্ব ঠিক মতো মিটল কি না, প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেন ছাড়ার মুহূর্তে কোথাও কোনও বিপত্তি ঘটছে কি না— সেই সব কিছু নজরে রাখতেই ওই উত্তল আয়না বসানো হয়েছিল। ওই সময়ে পার্ক স্ট্রিট স্টেশনে সজল কাঞ্জিলাল নামে এক যাত্রীর মৃত্যুর পরে মেট্রো রেলওয়ে সেফটি কমিশনারের সুপারিশ মেনে ওই আয়না বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই আয়না মেট্রোর একটি গুরুত্বপূর্ণ সুরক্ষা সরঞ্জাম। কিন্তু, গড়িয়া সংলগ্ন কবি নজরুল স্টেশনে দমদমগামী আপ প্ল্যাটফর্মে ওই আয়না ছাড়াই ছুটছে মেট্রো।
ওই সুরক্ষা সরঞ্জাম ছাড়া এ ভাবে মেট্রো চলাচল কোনও ভাবেই কাম্য নয় বলে মনে করছেন
মেট্রো আধিকারিকদের একাংশ। গত ৬ মে ঝড়ে ওই মেট্রো স্টেশনের ছাউনি উড়ে যাওয়ার দিনই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল আয়নাটিও। তার পর থেকে ওই আয়না ছাড়াই ট্রেন পরিষেবা চলছে। উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোর ক্ষেত্রে এখনও প্রত্যেক ট্রেনে পিছনের কামরায় গার্ড বা কন্ডাক্টিং মোটরম্যান থাকেন। ওই মোটরম্যান যাত্রীদের ওঠানামার দিকে লক্ষ্য রাখেন। কিন্তু, প্রায় ১৮০ মিটার লম্বা প্ল্যাটফর্মে ওই নজরদারি খুব সহজ কাজ নয়। ওই আয়না ছাড়াও যে সব প্ল্যাটফর্মে বাঁক রয়েছে বা আলো আসার সমস্যা রয়েছে, সেখানে বড় আকারের সিসি ক্যামেরার মনিটর প্ল্যাটফর্মে বসানো থাকে। যাতে চালক চাইলে আয়না এবং মনিটর দেখে সব কিছু নজরে রাখতে পারেন। তবে সম্প্রতি বেশ কিছু স্টেশনে সেই মনিটরও উধাও হয়েছে। কবি নজরুল স্টেশনেও বর্তমানে নেই ওই মনিটর। আয়না ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরে ১৫ দিনের বেশি কেটে গেলেও এখনও মেট্রো কর্তৃপক্ষ তা মেরামত করে উঠতে পারেননি। ফলে, সুরক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে আপোস করেই পরিষেবা চলছে বলে যাত্রীদের একাংশের অভিযোগ। যদিও মেট্রো সূত্রের খবর, ছাউনি মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। উত্তল আয়নাও বসানো হবে। তবে সেটা কবে হবে, নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি কেউই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy