Advertisement
E-Paper

পুলিশ ডেকে বেপরোয়া বাস ধরিয়ে দিলেন অভিভাবকেরা

ফের বেপরোয়া বাস চলাচল। অল্পের জন্য বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল তিন স্কুলপড়ুয়া। তবে এ বার রুখে দাঁড়ালেন তাদের অভিভাবকেরা। মাঝ রাস্তায় বেপরোয়া ওই বাসটিকে থামিয়ে দিয়ে তার কন্ডাক্টরকে ধরে ফেলেন তাঁরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০১৬ ০১:৫৬
কন্ডাক্টরকে মারধর। শুক্রবার, সল্টলেকে। —নিজস্ব চিত্র।

কন্ডাক্টরকে মারধর। শুক্রবার, সল্টলেকে। —নিজস্ব চিত্র।

ফের বেপরোয়া বাস চলাচল। অল্পের জন্য বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল তিন স্কুলপড়ুয়া। তবে এ বার রুখে দাঁড়ালেন তাদের অভিভাবকেরা। মাঝ রাস্তায় বেপরোয়া ওই বাসটিকে থামিয়ে দিয়ে তার কন্ডাক্টরকে ধরে ফেলেন তাঁরা। তাঁকে তুলে দেন পুলিশের হাতে। পরে অবশ্য ছেড়েও দেওয়া হয়। আটক হয়েছে বাসটি। খোঁজ চলছে চালকের।

শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে কাঁকুড়গাছিতে। পুলিশ জানায়, কাঁকুড়গাছি মোড়ে সল্টলেকের হরিয়ানা বিদ্যামন্দিরের তিন পড়ুয়াকে নিয়ে তাদের অভিভাবকেরা রাস্তা পার হয়ে বাস ধরতে যাচ্ছিলেন। সল্টলেকগামী একটি বেসরকারি বাসকে হাত দেখিয়ে দাঁড় করান অভিভাবকেরা। কিন্তু অভিযোগ, ওই সময়েই বাঁ দিক থেকে ওভারটেক করে ওই রুটেরই আর একটি বাস তাঁদের প্রায় সামনে চলে আসে। কোনও মতে ওই পড়ুয়াদের নিয়ে সরে যান অভিভাবকেরা।

যে বাসটিকে ডেকেছিলেন, এর পরে তাতেই উঠে পড়েন তাঁরা। ততক্ষণে পিছনের বাসটি দ্রুত এগিয়ে যায়। কিন্তু সল্টলেকের ২ নম্বর গেটের কাছে গিয়ে বেপরোয়া ওই বাসটিকে দাঁড় করানো হয়। অভিভাবকেরা বাস থেকে নেমে অন্য বাসের কন্ডাক্টরকে ধরে ফেলেন। পথচারীরাও এগিয়ে আসেন। প্রতক্ষ্যদর্শীদের একাংশের দাবি, পথচারী ও অভিভাবকদের একাংশ কন্ডাক্টরের উপরে চড়াও হন। যায় সল্টলেক উত্তর থানার পুলিশ। পরে কন্ডাক্টরকে ফুলবাগান থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। চালকের বিরুদ্ধে বেপরোয়া ভাবে বাস চালানোর অভিযোগে মামলা রুজু করেন অভিভাবকেরা। খোঁজ চলছে তাঁর।

অভিভাবক ও স্থানীয়েরা জানান, সকালে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের তুলতে গিয়ে মাঝেমধ্যেই বাসগুলি রেষারেষি করে। এর বিরুদ্ধে ট্রাফিক দফতরের কড়া পদক্ষেপ দাবি করেন অভিভাবকেরা। কলকাতা পুলিশের এক কর্তা অবশ্য জানান, বেপরোয়া যান চলাচলের জন্য পুলিশ নিয়মিত পদক্ষেপ করছে। সেই প্রক্রিয়া চালু থাকবে।

lynching reckless driving
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy