মন্ত্রী বনাম মেয়র পারিষদ। পুরভোট ঘিরে জমে উঠল তৃণমূলের দলীয় কোন্দল। উত্তর কলকাতার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল নেতৃত্ব এ বারও প্রার্থী করেছেন বর্তমান কাউন্সিলর তথা মেয়র পারিষদ পার্থপ্রতিম হাজারিকে। যা না-পসন্দ ওই এলাকার তৃণমূল যুব সভাপতি মোহন গুপ্তর। তাই দলের সিদ্ধান্তের তোয়াক্কা না করে ওই ওয়ার্ডে নির্দল হয়ে লড়ার কথা জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। এবং ‘দলের নাম’ ভাঙিয়ে ব্যানার তৈরি করার অভিযোগও উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
তার উপরে দলীয় প্রার্থী তথা মেয়র পারিষদ পার্থপ্রতিম হাজারির বক্তব্য, “মোহনবাবু স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজার অনুগামী হিসেবে পরিচিত।” মোহনবাবু দলের একনিষ্ঠ কর্মী, সে কথা বলেছেন মন্ত্রী শশী পাঁজাও। অর্থাত্ দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্দল হয়ে লড়াই করার পিছনে সরাসরি মন্ত্রীর মদত রয়েছে বলে জল্পনা শুরু হয়েছে। যা নিয়ে তোলপাড় দর্জিপাড়ার ওই এলাকা। পুরভোটের মুখে ওই ঘটনায় অস্বস্তিতে তৃণমূল নেতৃত্বও।
ঘটনার সূত্রপাত একটি ব্যানারকে কেন্দ্র করে। অভিযোগ, মোহনবাবু নিজের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে একটি মিছিল বার করেন। মিছিলের সামনে থাকা ম্যাটাডরে লেখা ছিল ‘তৃণ-মূল কর্মী’র সমর্থনে ভোট দেওয়ার কথা। দলীয় প্রার্থী না হয়েও তৃণ-মূল নাম ব্যবহার করায় তাঁর বিরুদ্ধে সরব হন পার্থবাবু। মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দলের নাম ব্যবহার করায় পুলিশের কাছে মোহনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এবং পুলিশ ওই গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করে।”
ওই ঘটনার পরে পার্থবাবু বলেন, “যিনি দলবিরোধী ওই কাজ করেছেন, তিনি অর্থাত্ মোহনবাবু শশী পাঁজার অনুগামী।” যা শুনে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, “মোহন দলের একনিষ্ঠ কর্মী। এবং তৃণমূূলের ব্লক যুব সভাপতিও।” তবে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা পার্থবাবুর মন্তব্য শুনে শশীর জবাব “আমি এমন কিছু শুনিনি।”
অন্য দিকে, এ দিনই ৮৮ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি-র একটি নতুন নির্বাচনী অফিসের উদ্বোধন হয়। ওই ওয়ার্ডে দলের প্রার্থী শুক্লা মজুমদার। তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে ফিরে আসা মালা রায়ের সঙ্গে।
তিনি কে?
বহু পদে বিরাজমান তিনি। শোভন চট্টোপাধ্যায় কলকাতার মেয়র, দক্ষিণ ২৪ পরগনার তৃণমূল সভাপতি, কলকাতা পুর-নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেনই। এ বার তার সঙ্গে যুক্ত হল ‘কলকাতা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি’-র পদও। দলের নতুন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সীর সই করা ঘোষণাপত্রে বুধবার এই ‘তথ্য’ প্রকাশ পেল। কলকাতা পুর-নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের প্রতীক বণ্টনের ভার দেওয়া হয়েছে শোভনবাবুকে। সেখানেই সুব্রতবাবুর সই করা সংশ্লিষ্ট ফর্মে কলকাতার মেয়রকেই কলকাতা জেলা সভাপতি বলে জানানো হয়েছে। যদিও কলকাতায় তৃণমূলের উত্তর ও দক্ষিণে আলাদা দুই সভাপতি রয়েছেন।
ভোটের লাগিয়া...
নিজের এলাকা ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারে বেরিয়েছেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার ছবি তুলেছেন অরুণ লোধ।
আলিপুরে জেলাশাসকের অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছেন
মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার। মঙ্গলবার ছবি তুলেছেন সুদীপ্ত ভৌমিক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy