Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

দশ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ কোর্টের

বছর ছয়েক আগে ২০১৩ সালের ৮ অক্টোবর মুকুন্দপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা করানোর জন্য যান কাউন্সিলরের স্বামী রঞ্জন শীল।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৯ ০১:৫৮
Share: Save:

স্বামীকে হারিয়ে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে মামলা করেছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর। মঙ্গলবার সেই মামলায় ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কলকাতা পুরসভার ১১২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অনিতা করমজুমদার।

বছর ছয়েক আগে ২০১৩ সালের ৮ অক্টোবর মুকুন্দপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা করানোর জন্য যান কাউন্সিলরের স্বামী রঞ্জন শীল। এ দিন অনিতা জানান, স্বামীকে সে দিনই চিকিৎসক হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন এবং রঞ্জনবাবুকে আইসিইউ-এ স্থানান্তরিত করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রঞ্জনবাবুর বুকে সংক্রমণ হয়। একুশ দিন পরে রোগীকে সাধারণ শয্যায় পাঠানো হয়।

কাউন্সিলরের আইনজীবী বিশ্বজিৎ নায়ডু জানান, ৫ নভেম্বর তাঁর মক্কেলের হার্টে অস্ত্রোপচার হয়। আইনজীবীর কথায়, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী, এমন ক্ষেত্রে রোগীর পরিবারকে অস্ত্রোপচার হলে কী কী হতে পারে, তা স্পষ্ট করে জানাতে হবে। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমার মক্কেলকে সে সব জানাননি।’’ অস্ত্রোপচারের পরে রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় বলে অভিযোগ। ২০১৩ সালের ১১ নভেম্বর রঞ্জনবাবু মারা যান।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

স্বামীর মৃত্যুর দু’বছর পরে ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে মামলা করেন অনিতা। এ দিন কাউন্সিলরের আইনজীবী বলেন, ‘‘রোগীর পরিবারের থেকে টাকা আদায়ের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তথ্য গোপন করে অস্ত্রোপচার করেছে বলে নির্দেশে বলা হয়েছে। সে জন্যই ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’’

বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের নির্দেশ খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Consumer Court Fine Nursing Homes
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE