প্রতীকী ছবি।
নোভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে বাঁচতে গত কয়েক দিন ধরেই গৃহবন্দি বহু মানুষ। চার দিকে শুধুই মন খারাপ করা খবর। এই মানসিক চাপ কাটাতে নিউ টাউনের ‘অ্যাকশন এরিয়া ২সি’-র একটি আবাসনের কয়েক জন বাসিন্দা আয়োজন করেছেন এক বসে আঁকো প্রতিযোগিতার।
কিন্তু বসে আঁকো প্রতিযোগিতা মানেই তো সেই মানুষের জমায়েত। যেখানে অনেকে মিলে একসঙ্গে বসে ছবি আঁকেন। করোনার এই সময়ে তা শুধু বিপজ্জনক নয়, নিষিদ্ধও বটে। আবাসনের বাসিন্দারা তাই ঠিক করেছিলেন, ওই বসে আঁকো প্রতিযোগিতা করা হবে অনলাইনে, আবাসনের নিজস্ব হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে। ওই পদ্ধতিতে গণ-জমায়েতও এড়ানো গিয়েছে।
আবাসনের বাসিন্দা কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় বললেন, ‘‘বসে আঁকো প্রতিযোগিতার পরিকল্পনার কথা আমাদের নিজস্ব হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ঘোষণা করার পরে অনেকেই ছবি এঁকে সেখানে আপলোড করতে শুরু করেছেন। শিশুদের পাশাপাশি বড়রাও অনেকে ছবি এঁকেছেন। কেউ কেউ জানিয়েছেন, করোনা-আতঙ্ক ভুলে থাকতে রং-তুলি খুব সাহায্য করছে তাঁদের।’’ ওই আবাসনের আর এক বাসিন্দা দেবাশিস দাসের কথায়, ‘‘সব সময়ে করোনা নিয়ে আলোচনা করতে করতে আমাদের সকলের চিন্তাভাবনাটাই কেমন যেন নেতিবাচক হয়ে যাচ্ছিল। তাই আমরা ভাবলাম, এই মন খারাপ থেকে বেরোতে এমন একটা প্রতিযোগিতার আয়োজন করলে কেমন হয়? দিনের পর দিন বাড়িতে বসে থাকা জনিত যে অবসাদ, তা-ও এর ফলে কাটতে পারে।’’
কৃষ্ণেন্দুবাবু জানিয়েছেন, প্রতিযোগিতায় কেউ এঁকেছেন গ্রামবাংলার নদীর ছবি, কেউ এঁকেছেন নদীতে মাঝির জাল ফেলার দৃশ্য। কারও বা ছবির বিষয়, ফুলগাছের সামনে দাঁড়ানো এক কিশোরী। প্রতিদিনই ছবি আপলোড হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপে গ্রুপে। দেবাশিসবাবু জানান, শুধু নিউ টাউনের ওই আবাসন নয়, ওই এলাকার অন্যান্য আবাসন নিয়েও তাঁদের আর একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ আছে। সেই গ্রুপেও তাঁরা একই ভাবে বসে আঁকো প্রতিযোগিতার আয়োজন করার কথা ভাবছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy