মাস্ক না-পরলে জিনিস মিলবে না হাওড়ায়

ভিড় কমাতে পুলিশের পরামর্শ মেনে নতুন পদক্ষেপ করল হাওড়ার বাজার কমিটিগুলি। মাইকে প্রচার করে জানিয়ে দেওয়া হল, নির্দিষ্ট সময়ে দোকান খুলতে হবে। ক্রেতারা মাস্ক না-পরলে জিনিস দেওয়া যাবে না। পাশাপাশি বাজারগুলিতে রীতিমতো প্রহরা বসিয়ে ও বাঁশের ব্যারিকেড করে মানুষকে নির্দিষ্ট দূরত্বে দাঁড়াতে বাধ্য করার কাজ বুধবার শুরু করল পুলিশ। জানিয়ে দেওয়া হল, সাইকেল বা বাইক নিয়ে বাজারে ঢোকা যাবে না।

হাওড়ার বাজারগুলিতে কিছুতেই ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিল না পুলিশ-প্রশাসন। সমস্যা সমাধানে তারা বাজার কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠক করে। পরে কমিটি সিদ্ধান্ত নেয়, মাস্ক না-পরলে জিনিস দেওয়া হবে না। নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনে লাইনে দাঁড়াতে হবে। ঠিক হয়েছে, সকাল ৬টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত আনাজ ও মাছ-মাংসের দোকান খোলা থাকবে। ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মুদির দোকান। রাজ্য সরকারের নির্দেশ মেনে বাজারে মিষ্টির দোকান খোলা থাকবে বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত।

শিবপুর বাজার কমিটির সদস্য তথা হাওড়া পুরসভার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘বুধবার থেকেই শিবপুর বাজারে এই নিয়ম চালু করা হয়েছে। ভিড় কমানোর জন্য পুলিশের সঙ্গে বৈঠকের পরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’

হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি (সদর) প্রিয়ব্রত রায় বলেন, ‘‘বাজারে গেলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। ভিড় কমিয়ে যাতে দূরত্ব বজায় রাখা যায়, তা দেখবে পুলিশ। তার জন্য বাজার কমিটিগুলিকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’’ তিনি জানান, হাওড়া সিটি পুলিশের তরফে কোনও নির্দেশিকা জারি করা হয়নি। তবে বিভিন্ন বাজারে বাঁশের ব্যারিকেড করা হয়েছে, যাতে একসঙ্গে অনেকে ঢুকতে না-পারেন। ক্রেতারা যাতে দূরত্ব মেনে বাজার করেন, সাইকেল বা বাইক নিয়ে কেউ না ঢোকেন, তা-ও দেখবে পুলিশ।

পুলিশের দাবি, বুধবার থেকে এই নিয়ম চালু হওয়ায় ফল মিলতে শুরু করেছে। এ দিন দক্ষিণে শিবপুর বাজার, উত্তরে হরগঞ্জ বাজার, মধ্য হাওড়ার কালীবাবুর বাজার ও কদমতলা বাজারে ভিড় ছিল তুলনামূলক ভাবে কম।

আরও পড়ুন: মায়ের শ্রাদ্ধে বাধা, জট কাটাল পুলিশ