Advertisement
E-Paper

রেলিংবন্দি হল মেয়রের চেয়ারও

মঙ্গলবার সকাল থেকে কলকাতা পুরসভায় আসা মানুষজনকে সচেতন করার কাজ শুরু করেন পুর কর্তৃপক্ষ।

অনুপ চট্টোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২০ ০৩:৪১
বেষ্টনী: সতর্ক থাকতে ঘিরে দেওয়া হয়েছে মেয়রের চেয়ার। মঙ্গলবার, পুরসভায়। নিজস্ব চিত্র

বেষ্টনী: সতর্ক থাকতে ঘিরে দেওয়া হয়েছে মেয়রের চেয়ার। মঙ্গলবার, পুরসভায়। নিজস্ব চিত্র

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সতর্ক থাকতে কেন্দ্রীয় পুর ভবনে মেয়রের ঘরের চেয়ার ঘিরে দেওয়া হল শেকলযুক্ত রেলিং দিয়ে। পাশাপাশি নিজেদের ঘরে ঢোকার সময়ে ডেপুটি মেয়র, সব মেয়র পারিষদ, পুর কমিশনার এবং বিশেষ পুর কমিশনারদের দেওয়া হচ্ছে হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার। পুর অফিসারদের কথায়, শুধু কলকাতা বা এই রাজ্য নয়, দেশের বিভিন্ন রাজ্য এমনকি বিদেশ থেকেও বহু মানুষ মেয়রের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। কেউ কেউ অনেক সময়ে তাঁর কাছাকাছিও চলে যান। তাই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবেই এই ব্যবস্থা।

করোনা-সংক্রমণ ঠেকাতে সোমবারই নবান্নে বিশেষ বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেই মঙ্গলবার সকাল থেকে কলকাতা পুরসভায় আসা মানুষজনকে সচেতন করার কাজ শুরু করেন পুর কর্তৃপক্ষ। এ দিন পুরসভার পাঁচটি প্রবেশপথেই হাতে স্যানিটাইজ়ারের বোতল নিয়ে মোতায়েন ছিলেন একাধিক নিরাপত্তারক্ষী। শুধু পুরকর্মী বা অফিসারই নন, নানা কাজে পুরসভায় যাঁরা এসেছেন, তাঁদের সকলকেই স্যানিটাইজ়ারে হাত পরিষ্কার করে ঢুকতে হয়েছে। দুপুরের দিকে মেয়র ফিরহাদ হাকিম আসার পরে তাঁকেও স্যানিটাইজ়ার এগিয়ে দেন নিরাপত্তারক্ষী। হাত পরিষ্কার করে মেয়র চলে যান নিজের ঘরে। ততক্ষণে তাঁর চেয়ারের দু’দিকই ঘিরে ফেলা হয়েছে রেলিংয়ে। এ বিষয়ে ফিরহাদ বলেন, ‘‘সকলেরই সতর্ক থাকা দরকার। আমি নিজেও পরিবার নিয়ে থাকি। বাড়িতে ছোট নাতনি রয়েছে। এক জনের কারণে অন্যের শরীরে যাতে এই ভাইরাসের সংক্রমণ না-ছড়ায়, তার জন্যই সাময়িক ভাবে এই ব্যবস্থা করেছেন পুরসভার অফিসারেরা।’’ পুর কমিশনার খলিল আহমেদের ঘরেও তাঁর বসার জায়গার কাছাকাছি কয়েকটি চেয়ার সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

শুধু পুর ভবনের কেন্দ্রীয় অফিস নয়, করোনার সতর্কতা নেওয়া হয়েছে প্রতিটি বরো অফিসেও। পুর স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্বে থাকা ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ জানান, শহরবাসীকে পরিষেবা দিতে স্বাস্থ্য, জঞ্জাল অপসারণ দফতর-সহ একাধিক দফতরের কয়েক হাজার কর্মীকে প্রতিদিন রাস্তায় বেরোতে হয়। তাঁদের সকলকে মাস্ক দেওয়া হচ্ছে। এর জন্য ৫০ হাজার মাস্ক কেনা হচ্ছে। তা ছাড়া, পুরসভার ১৬টি বরোয় ১৬টি বিশেষ দল গঠন করা হবে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণে কেউ আক্রান্ত হয়েছেন খবর পেলে দলের সদস্যেরা বিশেষ ধরনের পোশাক (পার্সোনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট) পরে সেই রোগীর কাছে পৌঁছবেন। তাঁকে হাসপাতালে যেতে সাহায্য করবেন। পুরসভা সূত্রের খবর, করোনার মতো লক্ষণযুক্ত রোগীদের জ্বর মাপতে থার্মাল স্ক্যানার কেনা হচ্ছে। জন্ম ও মৃত্যুর শংসাপত্র দেওয়ার কেন্দ্রে সেই যন্ত্র রাখা হবে। এর পাশাপাশি শহরে পুরসভার অধীনস্থ বাজারগুলিতেও হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার রাখা হচ্ছে।

Coronavirus KMC Firhad Hakim
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy