Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

প্রয়োজন খতিয়ে দেখে পাস দিচ্ছে বিধাননগর পুলিশ

যাঁর নামে পাস দেওয়া হবে, তিনি ছাড়া অন্য কেউ সেই পাস ব্যবহার করতে পারবেন না।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২০ ০৩:১৬
Share: Save:

জরুরি প্রয়োজনে বাইরে না-বেরোলেই নয়। ডাক্তার দেখানো থেকে শুরু করে ওষুধ বা খাদ্যসামগ্রী কিনতে বাইরে বেরোতেই হবে। অথচ, লকডাউন চলাকালীন বেরোতে গেলে সঙ্গে থাকতে হবে পুলিশের দেওয়া পাস।

যত দিন যাচ্ছে, সেই পাসের জন্য আবেদনের সংখ্যাও বাড়ছে বিধাননগরে। আবেদনকারীদের বাইরে বেরোনোর কারণ খতিয়ে দেখে তবেই একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ওই পাস দিচ্ছে বিধাননগর পুলিশ।

কমিশনারেট সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত কমবেশি ৬০০টি পাস দেওয়া হয়েছে। যাঁরা সেই পাস পেয়েছেন, তাঁদের অধিকাংশই কোনও না কোনও ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। যেমন, সল্টলেকের একটি বাজারের এক দোকানি জানালেন, তাঁর দোকানে বিভিন্ন সামগ্রীর মজুত ক্রমশ ফুরিয়ে আসছে। কিন্তু পোস্তা বাজার থেকে সেই সব সামগ্রীর সরবরাহ আপাতত বন্ধ রয়েছে। কারণ, মোটবাহকের অভাব। সেই ব্যবসায়ী পাসের জন্য আবেদন করেছিলেন বিধাননগর পুলিশের কাছে। সব দিক খতিয়ে দেখে তাঁকে পাস দিয়েছে পুলিশ।

কেউ কেউ আবার বর্ধমান বা হুগলি থেকে চাল, আলু আনতে যাবেন বলে আবেদন করেছিলেন। তাঁদেরও পাস দেওয়া হয়েছে। কোনও কোনও বাসিন্দা হয়তো বিশেষ কোনও কারণে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য পাস চেয়ে আবেদন করেছিলেন। তাঁদেরও সেই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য পাস দেওয়া হয়েছে।

পাস দেওয়ার ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয়কে আবশ্যিক করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। যেমন, যাঁকে পাস দেওয়া হচ্ছে, তাঁর ছবি এবং যে গাড়ি ব্যবহার করা হবে, সেটির নম্বর পুলিশকে জানাতে হবে। যাঁর নামে পাস দেওয়া হবে, তিনি ছাড়া অন্য কেউ সেই পাস ব্যবহার করতে পারবেন না।

যে কাজের জন্য পাস দেওয়া হয়েছে, তার বাইরে অন্য কোনও কাজে সেই পাস ব্যবহার করা হচ্ছে কি না, অথবা পাস জাল করা হচ্ছে কি না, সে দিকেও নজর রাখছে পুলিশ। পাসের মধ্যে একটি সিরিয়াল নম্বর, বিধাননগর পুলিশের গ্রিভান্স সেলের নম্বর এবং কন্ট্রোল রুমের নম্বর দেওয়া থাকছে।

বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট এলাকার ব্যবসায়ীদের একাংশের বক্তব্য, জিনিসপত্রের জোগান থাকলেও তা দোকানে দোকানে সরবরাহ করার মতো লোক নেই। ফলে বাধ্য হয়ে জেলায় কিংবা শহরের বড় বাজারগুলিতে নিজেরাই যাচ্ছেন তাঁরা। প্রথম দিকে গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করার সময়ে পুলিশ আটকে দিচ্ছিল। আবার শহরের বাইরে থেকে সামগ্রী আনার সময়েও পুলিশ ধরছিল। এই পাস দেওয়ার ফলে ঝামেলা কমেছে।

বিধাননগর পুলিশের এক কর্তা জানান, প্রয়োজন কতটা, তা বিবেচনা করেই আবেদনকারীদের পাস দেওয়া হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Covid-19 Bidhannagar Police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE