সাইরেনের শব্দ ধীরে ধীরে বাড়ছিল। শয্যা না পেয়ে রোগী নিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স ঘুরছিল এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে। অ্যাম্বুল্যান্স পাওয়াও ছিল যুদ্ধ জয়ের মতোই। বেসরকারি হাসপাতালের খরচে সর্বস্বান্ত পরিবারের আকুতি আজও শোনা যায়। বাবা-মা-সন্তান-স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় পিছনে রেখে প্লাস্টিকে মোড়ানো একাকী দেহগুলোর গন্তব্য ছিল তখন ধাপার মাঠ। প্রিয় জনের মৃত্যু কবে হল বা তিনি কেমন আছেন, সেই খবরটুকু পাওয়া ছিল অনেক সংগ্রামের ফল। ঠিক এক বছর আগের সেই দিনগুলোই কি আবার ফিরিয়ে আনতে চলেছে আমাদের অসচেতনতা? বর্তমান পরিসংখ্যান অন্তত সেই দিকেই ইঙ্গিত করছে।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা মিলিয়ে ৫৫টি বেসরকারি হাসপাতালের অধিকাংশ শয্যাই এই মুহূর্তে ভর্তি। পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ওই ৫৫টি হাসপাতাল মিলিয়ে ২৭০৩টি শয্যার মধ্যে ১৩ এপ্রিল ২০১৩টি ভর্তি ছিল। ১৪ এপ্রিল ভর্তি শয্যা ছিল ২১৬০। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে করোনা শয্যা বাড়ানো হচ্ছে। যার ফলে ১৫ এপ্রিল একটি অতিরিক্ত বেসরকারি হাসপাতাল যোগ হয়ে কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায় এখন সংখ্যাটা ৫৬। সব মিলিয়ে কোভিড শয্যা হয়েছে ২৭৮৪টি। যার মধ্যে ভর্তি ২৩৩৫টি।
সরকারি হাসপাতালেও কমছে ফাঁকা শয্যার সংখ্যা। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রোগী ভর্তির হার সব থেকে বেশি এম আর বাঙুর, বেলেঘাটা আই ডি এবং কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।